বার্তা৭১ ডটকমঃ রাজধানীতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী সেলিমের ছেলের বাসায় অভিযান চালিয়েছে র্যাব।
সোমবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে এ অভিযান চালানো হয়। এসময় এরফানের বাসা থেকে বেশ কিছু অবৈধ জিনিস উদ্ধার করে র্যাব। এর মধ্যে আছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, যেটা অবৈধ বলে ধারণা করছে র্যাব। সেটির কাগজপত্র এখনও দেখাতে পারেননি তিনি। এছাড়া, বিপুল সংখ্যক মদের বোতল রয়েছে বাড়িটিতে। পাওয়া গেছে বেশ কিছু বিয়ারের ক্যান।এছাড়া অভিযানে বিপুল সংখ্যক ওয়াকিটকি সদৃশ যন্ত্রপাতি জাতীয় সরঞ্জাম পাওয়া গেছে।
র্যাবের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা ধারণা করছেন ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করা এবং ঢাকা শহরে অবৈধভাবে কোনো সিগন্যালিংয়ের জন্য ব্যবহার করা হতো। এগুলোর ন্যায্য কাগজপত্র দেখাতে না পারলে সেগুলোও অবৈধ।
এদিকে, ওই বাড়িতেই এরফানসহ আরো দুইজন পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।
এর আগে ২৫ অক্টোবর রাতে ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়। রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও ২৬ অক্টোবর ভোরে হাজী সেলিমের ছেলেসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওয়াসিফ।
মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন, ইরফান সেলিম, এ বি সিদ্দিক দীপু, জাহিদ, মীজানুর রহমান ও অজ্ঞাতনামা আরও দুই/তিনজন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ইরফানের গাড়ি ওয়াসিমকে ধাক্কা মারার পর নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিম সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামান এবং গাড়ির সামনে দাঁড়ান। নিজের পরিচয় দেন। এরপরই গাড়ি থেকে কয়েকজন বের হয়ে ওয়াসিমকে কিলঘুষি মারেন এবং তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। তারা মারধর করে ওয়াসিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যান। পরে তার স্ত্রী, স্থানীয় জনতা এবং পাশে ডিউটিরত ধানমন্ডির ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা তাকে উদ্ধার করে আনোয়ার খান মডেল হাসপাতালে নিয়ে যান।