ঢাকা, ১৯ মে: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে রোববার ১৮ দলীয় জোটের গণঅনশন মহানগর নাট্যমঞ্চে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
শনিবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
সমাবেশ থেকে স্বেচ্ছাসেবক দল আগামী ২১ ও ২২ মে সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মনে করছে তারাই সব। তারাই চিরদিন থাকবে। এটি ভুল, কেউই চিরদিন থাকে না। অতীতে এই সরকারের চেয়ে সংসদে বেশি আসন পাওয়া যারা ছিল তারাও আজ নেই।
সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, “গণতান্ত্রিক রাজনীতিকে সঠিকভাবে চলতে দিন। আপনারা মানুষের সমর্থন হারিয়ে ফেলেছেন।”
তিনি বলেন, “বিগত সাড়ে তিন বছরে সরকার কোনো উন্নয়ন করতে পারেনি। প্রশাসনের সবখানে দুর্নীতিতে ভরে গেছে। এজন্য এখন মানুষ পরিবর্তন চায়। আর বিএনপি গণতান্ত্রিক নিয়মে পরিবর্তনে বিশ্বাস করে।”
বিএনপির এই নেতা বলেন, “নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে চায়। কিন্তু সরকার তা চায় না।”
“শুধু বিরোধীদলের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন নয়, গ্যাস বিদ্যুৎ ও শেয়ারবাজারের অস্থিরতার কথাও আমরা ভুলিনি। এসবের জবাব আন্দোলনের মাধ্যমেই দেয়া হবে।” –উল্লেখ করেন নজরুল ইসলাম।
“সরকারের নির্যাতন-নিপীড়নে যখন হিউম্যান রাইটসসহ বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা উদ্বিগ্ন, তখন বিরোধীদলীয় নেতাদের নামে ‘মিথ্যা মামলা’ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। এতে আন্দোলন বন্ধ হবে না, আরো কঠিন হবে।” –হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
অপরদিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) আয়োজিত মানববন্দনে নজরুল ইসলাম খান বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনের এলাকা সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা বেষ্টিত। সেখানে কীভাবে বিএনপি নেতারা গাড়ি পোড়াবে? এটি অসম্ভব। মুলত তাদের হয়রানি করতেই মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, “আওয়ামী লীগের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। কিন্তু তাদের হাতেই দেশের দায়িত্বভার রয়েছে।”
কারাগারে নেয়ার আগে বিএনপি নেতাদের প্রস্তুতির সুযোগও দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপি নেতাদের জামিন মঞ্জুর না করার সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আওয়ামী-বিএনপি প্রতিপক্ষ কিন্তু বিচারকরা কারো প্রতিপক্ষ নয়। তারা কীভাবে এমন রায় দিলেন।”
জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে ১৮ দল লড়াই করছে। আইনিলড়াই ও রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমেই বিএনপি নেতাদের মুক্ত করা হবে বলে জানান তিনি।
এতে সভাপতিত্ব করেন বিজেপির মহাসচিব শামীম আল মামুন।
পার্টির সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জয়নুল আবদিন ফারুক, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহান, আসাদুজ্জামান, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।