ঢাকা, ১৪ জুন: বড় ছেলের নামাজে জানাজা’য় ইমামতি করার জন্য জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে প্যারোলে মুক্তি দিয়েছে সরকার। বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পান।
এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় থেকে জানানো হয়, বিকাল পাঁচটা থেকে ছেলের জানাজা শেষ হওয়া পর্যন্ত মুক্ত থাকবেন সাঈদী।
জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর শাখার নায়েবে আমির হামিদুর রহমান আযাদ জানিয়েছেন, সাঈদীকে জানাজার স্থলে নিয়ে যাওয়ার জন্য তারা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগরের সামনে অপেক্ষা করছেন। এর আগে সকালে তার মুক্তি চেয়ে আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছানো হয় । এ তথ্য জানিয়েছেন দলটির ঢাকা মহানগর শাখার সহকারি সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
শফিকুল ইসলাম জানান, ‘‘মাওলানা সাঈদীকে প্যারোলে মুক্তি দেয়ার আবেদন নিয়ে আমাদের দুই আইনজ মশিউল আলম ও এম কামাল উদ্দিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গেছেন।’’
তিনি বলেন, ‘‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আবেদন গ্রহণ করার পর তা নিয়ে আইনজীবীরা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে যাবেন।’’
একাত্তরে সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক মাওলানা সাঈদীর মামলার কাজ চলাকালে গতকাল বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন পুত্র রাফীক বিন সাঈদী (৪৭)।
এর আগে মাওলানা সাঈদীর পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে বাদ আসর মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রাফীক বিন সাঈদীর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। প্যারোলে মুক্তির পর বাবার ইমামতিতেই জানাজা হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া পিরোজপুরে তার গ্রামের বাড়িতেও জানাজা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কোথায় দাফন করা হবে তা মাওলানা সাঈদীর সঙ্গে আলোচনার পরই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর মাওলানা সাঈদীর মা মারা যান। সে সময়ও তিনি ২ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি নিয়ে মায়ের জানাজায় ইমামতি করেন।