পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া সীমান্ত এলাকা সফর করায় জাতিসংঘ উদ্বাস্তু সংস্থা ইউএনএইচসিআর ঢাকার প্রতিনিধি ক্রেইগ স্যান্ডার্সকে সতর্ক করা হয়েছে। পাশাপাশি সংস্থাটির সুরক্ষা বিষয়ক সহকারী হাইকমিশনার এরিকা ফেলারের পূর্বনির্ধারিত বাংলাদেশ সফর স্থগিত হয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়ে আলোচনার লক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার তার
বাংলাদেশে আসার কর্মসূচি নির্ধারিত ছিল।
ঢাকায় নিযুক্ত ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি ক্রেইগ স্যান্ডার্সকে গতকাল সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে নিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে এরিকা ফেলারের বাংলাদেশে আসার এখন উপযুক্ত সময় নয়। এ সময় ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধিকে ফের জানিয়ে দেওয়া হয়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দাঙ্গার ফলে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আসার অনুমতি দেওয়া হবে না। বৈঠক সম্পর্কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, নতুন করে মিয়ানমারের নাগরিকদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই।
ঢাকায় ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি ক্রেইগ স্যান্ডার্স গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গিয়ে জাতিসংঘ বিষয়ক অনু বিভাগের মহাপরিচালক সাইদা মুনা তাসনীমের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে এরিকা ফেলারের সফরের বিষয়ে জানানো হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি সৌদি যুবরাজ নায়েফ বিন আবদুল আজিজের দাফন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আকস্মিক সফরে সৌদি আরব গেছেন। পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস বর্তমানে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওতে রয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া সীমান্ত এলাকা সফর করায় বৈঠকে ক্রেইগ স্যান্ডার্সকে সতর্ক করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, কক্সবাজারে কোনো কোনো এলাকায় তার সফরের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।
বৈঠক শেষে ক্রেইগ স্যান্ডার্স অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, বাংলাদেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক বেশি। এ দেশে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৯০০ মানুষ বাস করে, যেখানে মিয়ানমারে বাস করে ১০০। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত মিয়ানমারকে বিষয়টি বলা।