বঙ্গোপসাগরে সমুদ্রসীমা নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে জয়ে আয়োজিত ‘নাগরিক সংবর্ধনা’ জনসমুদ্রে পরিনত হয়েছে।
শিক্ষাবিদ জিল্লুর রহমান সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে শনিবার বিকাল ৫টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্ল¬াজায় এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, অধ্যাপক, আইনজীবী, সাংবাদিক, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতা, রাজনৈতিক দলের নেতা, সরকারের মন্ত্রী, সাংসদসহ বিশিষ্ট নাগরিকরা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছায়ানটের শিল্পীরা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। শেখ হাসিনা বিকাল ৫টায় অনুষ্ঠান মঞ্চে পৌঁছানোর পর সম্মাননা পত্র পাঠ করেন সাহিত্যিক সৈয়দ শামসুল হক। প্রধানমন্ত্রীর হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী।
এরপর ছায়ানটের শিল্পীরা ‘বিজয় নিশান উড়ছে ওই’ ও ‘মোরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম’ গানের সঙ্গে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন। গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের শিল্পীরা গেয়ে শোনান ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে/ রক্ত লাল রক্ত লাল রক্ত লাল’।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীরা ‘নোঙ্গর তোল তোল’ গানটি পরিবেশনের পর শুরু হয় বিশিষ্টজনদের আলোচনা। শুরুতেই বক্তব্য দেন সমুদ্র জয় উদযাপন জাতীয় নাগরিক কসিমটির কো-চেয়ারম্যান কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, শিল্পী কাইয়ূম চৌধুরী, জাতীয় অধ্যাপক এম আর খান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি বক্তব্য দেন।
নাগরিক কমিটি জানিয়েছে, সংবর্ধনায় বিশিষ্টজনদের বক্তব্যের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীও বক্তব্য দেবেন।
গত ১৪ মার্চ সমুদ্র আইন বিষয়ক আন্তর্জাতিক আদালত বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সীমানা চিহ্নিত করে রায় দেয়। এতে বাংলাদেশের দাবি প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় একে ‘সমুদ্রজয়’ হিসাবে উল্লেখ করে আসছে ক্ষমতাসীন দল।