প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে গাড়ি পোড়ানোর মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক নুরুল আমীন বৃহস্পতিবার সকালে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই অভিযোগপত্র জমা দেন। মহানগর দ্রুত বিচার হাকিম এরফান উল্লাহ ১৩ মে এ বিষয়ে আদেশ দেবেন।
এম ইলিয়াস আলীকে ‘গুমের’ প্রতিবাদে গত ২৯ ও ৩০ এপ্রিল সারা দেশে হরতালের সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে একটি বাসে আগুন দেয় হরতালকারীরা। ২৯ এপ্রিল রাতে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ৪৪ নেতাকর্মীর নামে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করে তেজগাঁও থানা পুলিশ।
তবে এজাহারে থাকা একজনের নাম বাদ দিয়ে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতার নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এ মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের মধ্যে মির্জা ফখরুল ছাড়াও বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমান উল্লাহ আমান, মাহবুব উদ্দিন খোকন, ফজলুল হক মিলন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, নাজিম উদ্দিন আলম, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কামরুজ্জামান রতন, সাইফুল আলম নিরব, হাবিব উন খান সোহেল, মীর শরফত আলী সুপু, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, হাবিবুর রশীদ হাবিব, আবদুল মতিন, ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির আন্দালিব রহমান পার্থ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সভাপতি শেখ শওকত হোসেন নিলু, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি শফিউল আলম প্রধানও রয়েছেন।
এজাহারের আসামিদের মধ্যে থেকে ইসলামী ছাত্রশিবির নেতা আব্দুল জব্বারের নাম বাদ দিয়ে তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি ইসমাইল খান শাহীন এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের মোহাম্মদপুর থানা শাখার সভাপতি মান্নান হোসেন শাহীনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে অভিযোগপত্রে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন এ মামলায় জামিনে এবং আরেক যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী কারাগারে রয়েছেন। বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তাররি পরোয়ানা জারিরও আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
মির্জা ফখরুলসহ মামলার অন্য আসামিরা হরতালের মামলায় হাইকোর্টের আগাম জামিন চাইলে একটি বেঞ্চ দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দেয়। ফলে বিষয়টি তৃতীয় বেঞ্চের এখতিয়ারে চলে যায়। অবশ্য ওই আবেদনের নিষ্পত্তি হওয়ার আগে বিএনপি নেতাদের হয়রানি না করারও আদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। বিএনপি নেতাদের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, এ আইনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ দুই বছর সাজা হতে পারে। আইন অনুযায়ী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এ মামলার বিচার শেষ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তা সম্ভব না হলে অনুমতি সাপেক্ষে আরো ১৫ দিন সময় পাবেন তদন্ত কর্মকর্তা।