বার্তা৭১ ডটকমঃ স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে রাজনীতি করা হয়, এটি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু বাঙালির স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন অথচ তাকে অস্বীকার করা হয়। তার অবদানকে অস্বীকার ও বিকৃতি করা হয়। এটি যারা করে তাদের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (১৩ আগসট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটা কোনো দেশেই হয় না। নেদারল্যান্ডসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যারা নাৎসি বাহিনীকে সহযোগিতা করেছেন তাদের ভোটাধিকার নেই। যারা সমর্থন করেছিল তাদেরও ভোটাধিকার নেই। দুঃখজনক হলেও সত্যি, স্বাধীনতার যারা বিরোধিতা করেছে, তারা দেশে রাজনীতি করে, এমপিও নির্বাচিত হয়। মন্ত্রীও হয়েছে জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী খালেদা জিয়ার কল্যাণে। যারা স্বাধীনতা অস্বীকার করে তাদের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ হওয়া দরকার।
হাছান মাহমুদ বলেন, দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড হয়। অনেক দিনের প্রস্তুতি নিয়ে এটা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের যে বিচার হয়েছে সেখানে স্বাক্ষীরা কি বলেছেন? আসামিরা কি জবানবন্দি দিয়েছে, কার সাথে কি মিটিং করেছে, জিয়াউর রহমানের সাথে কার কার কখন মিটিং হয়েছে। জিয়াউর রহমান কিভাবে এতে সায় দিয়েছে এবং সহযোগিতা আসে সেগুলো সেখানে বর্ণিত আছে।
তিনি বলেন, কিছু সেনা অফিসার বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল। তারা সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হয়। কেউ যদি সেনাবাহিনী থেকে আউস্টেড হয়, সে সেনানিবাসে প্রবেশ করতে পারেনা। তারা সেনানিবাসে গিয়ে টেনিস খেলতো, ব্যাডমিন্টন খেলতো। তারা কিভাবে এখানে গেল জেনারেল শফিউল্লাহ যখন জিজ্ঞেস করল তখন তারা বলে সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানের অনমুতি নিয়ে এসেছে। তারা টেনিস খেলতে গিয়ে ষড়যন্ত্রগুলো করতো। আজকে এসব বিষয় প্রকাশিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, একটা কমিশন গঠন করে হত্যাকান্ডে সবিস্তর জাতির সামনে উন্মোচন করা দরকার। আজকে যদি তা করা না হয়, তাহলে ৫০ আব ১০০ বছর পর ইতিহাস রচিত হবে- কারা হত্যা করেছিল, বিচারে যাদের শাস্তি হয়েছিল তারাই শুধু যুক্ত ছিল।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক মাইনুল আলম, প্রমুখ।