দেশের অর্থনীতির বর্তমান হালে সন্তুষ্ট অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের হতাশা এ নিয়ে প্রচার নেই বলে।
মন্ত্রী মঙ্গলবার তার দপ্তরে সাংবাদিকদের বলেন, “বিশ্ব মন্দার পর থেকে এ পর্যন্ত ভালো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশের মধ্যে শীর্ষ কাতারে রয়েছে বাংলাদেশ; অথচ দেশের মধ্যে এর তেমন প্রচারণা নেই।”
অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক মন্ত্রীর পক্ষে হলেও পুঁজিবাজার, ব্যাংক খাতে কেলেঙ্কারি, বিদ্যুতে ভর্তুকি নিয়ে বিরোধী দলের দাবি, দেশের অর্থনীতিতে ‘দুঃসময়’ চলছে।
বিভিন্ন সময়ে মন্তব্যের জন্য সমালোচনার মুখে পড়া মুহিতের আরো হতাশা, “আমি যা বলি, সংবাদ মাধ্যমে তা মিসকোট (ভুলভাবে উদ্ধৃত) করা হয়।”
বিনিয়োগকারীদের ‘ফটকাবাজ’ বলাসহ পুঁজিবাজার নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্যের জন্য সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন মুহিত। ড. মুহাম্মদ ইউনূসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ‘রাবিশ’ উক্তির জন্যও সমালোচনা সইতে হয়েছে তাকে।
সর্বশেষ হল-মার্ক কেলেঙ্কারিতে আড়াই হাজার কোটি টাকা ‘লুট’ ‘তেমন বড় কিছু নয়’ মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে ভুল স্বীকার করেন অর্থমন্ত্রী।।
দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি নিয়ে খেদ প্রকাশ করে মুহিত গত জানুয়ারিতে বলেছিলেন, “আমি জানি না, কীভাবে, এটা বদলাবে।”
মঙ্গলবার সুইজারল্যন্ডের আইএমডি বিজনেস স্কুলের একটি প্রতিনিধি দল অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে। এরপর তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “বিশ্ব অর্থনীতির মন্দার মধ্যেও সাম্প্রতিক সময়ে যে পাঁচটি দেশ সবচেয়ে ভালো করেছে তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। ২০০৮ সালের পর থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতি খুবই ভালো। দেশের মধ্যে অনেকে এটা স্বীকার করে না, অথচ বাইরে থেকে প্রশংসা পেয়েছি।”
মন্দার পর যে পাঁচটি দেশের অর্থনীতি ভালো অবস্থায় রয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম বলে জানান মুহিত। বাকি চারটি দেশ হচ্ছে- চীন, ব্রাজিল, সিঙ্গাপুর ও তুরস্ক।
“বিশ্বের অনেক লোক মনে করে বাংলাদেশ অনেক ভালো করছে, সম্ভাবনাও প্রচুর। কিন্তু দুঃখজনক হল- দেশের মধ্যে এ ব্যাপারে ইতিবাচক প্রচার নেই।”
সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোতে পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন কবে হবে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “সময় হলেই দেখতে পাবেন।”