বার্তা৭১ ডটকমঃ কক্সবাজারের টেকনাফে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামি নুর মোহাম্মদ (৩৪) পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হন।
তারা হলেন- ওসি (তদন্ত) এবিএমএস দোহা (৩৬), কনস্টেবল আশেদুল (২১), অন্তর চৌধুরী (২১) আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে চারটি এলজি, একটি থ্রি কোয়াটার, ১৮ রাউন্ড গুলিসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) উপজেলার জাদিমুরা পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবি, নুর চিহ্নিত সন্ত্রাসী। সে নুর আলম নাম নিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রও নিয়েছিল।
নিহত রোহিঙ্গা ডাকাত নুর মোহাম্মদ প্রকাশ নুর আলম মিয়ানমারের আকিয়াব এলাকার কালা মিয়ার ছেলে। সে টেকনাফের ২৭ নম্বর শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।
টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, টেকনাফের জাদিমুরা রোহিঙ্গা শিবিরে পাহাড়ি এলাকায় যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামি ও শীর্ষ সন্ত্রাসী রোহিঙ্গা নুর মোহাম্মদের অবস্থান নিয়েছে- এমন খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে সেখান থেকে নুরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শংকর চন্দ্র দেব নাথ বলেন, রবিবার সকালে পুলিশ হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ এক রোহিঙ্গাকে নিয়ে আসেন। তার বুকে ও পেটে ছয়টি গুলির চিহ্ন রয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
নিহতের বিরুদ্ধে থানায় মাদক ও হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গত ২২ আগস্ট রাত পৌনে ১১টার দিকে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুককে তার বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে রোহিঙ্গা ডাকাতরা। ওই মামলার প্রধান আসামি ছিলেন নুর মোহাম্মদ।