৭ মার্চের ভাষণ বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছিলো বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আমরা নিরস্ত্র বাঙালি, তাই বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, যার কাছে যা কিছু আছে তা নিয়ে রুখে দাঁড়াতে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে নিরস্ত্র বাঙালি সশস্ত্র হয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলো।
সোমবার (২১ মার্চ) জাতীয় জাদুঘরের শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও ল্যাপটপ তুলে দেয়া হয়।
তিনি বলেন, একসময় দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করে তা শিশু-কিশোরদের মাঝে প্রচার করা হয়েছিলো। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর দেশের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরেছেন।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, দেশের ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টা আমরা দেখেছি। কেউ একজন হুঙ্কার দিলো বা হুইসেল দিলো, আর দেশ স্বাধীন হয়ে গেলো! এমনটি হয়নি।
মন্ত্রী বলেন, অন্যায় করলে, কোনো না কোনোদিন তা প্রকাশ পায়। ইতিহাস কাউকে কোনোদিন ক্ষমা করে না।
তিনি বলেন, ২৫ মার্চ আসছে আমাদের সামনে, সেই কালরাত। পাকিস্তান হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো। সেদিন থেকে দেশ স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত ৩০ লাখ বাঙালি শাহাদাতবরণ করেছিলেন। এতো রক্ত স্বাধীনতার জন্য কোনো দেশ দেয়নি। রক্তে রঞ্জিত হয়নি এমন কোনো গ্রামের নাম কেউ বলতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু কীভাবে হলেন, বাংলাদেশ কীভাবে হলো তা জানার জন্য এই বইটি (অসমাপ্ত আত্মজীবনী) পড়তে হবে।
তিনি আরো বলেন, ৩ মার্চ বঙ্গবন্ধু তার বাসভবনে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করার সাথে সাথে সারাদেশের এমন কোনো বাড়ি নেই, যেখানে স্বাধীনতার পতাকা ওড়েনি।
শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের মহাসচিব কে এম শহিদ উল্যার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা প্রমুখ।