মালয়েশিয়ায় আটক হওয়া সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেশে ফেরত আনাতে জাতিসংঘের সঙ্গে সরকার কথা বলবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ার সরকার এবং তাদের সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্ক সেটার ওপর ভিত্তি করে আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাকে আমরা ফেরত পাব। সাবেক এ হাইকমিশনারকে ফেরানোর জন্য যথেষ্ঠ তথ্য-প্রমাণ রয়েছে, যেগুলো আইনি প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করবে।
শাহরিয়ার আলম বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব শেষে তাকে হেডকোয়ার্টারে ফেরত আসতে বলেছিল। কিন্তু তিনি আসেননি। পরে তার বিরুদ্ধে অনেক অডিট আপত্তি আসে। অর্থনৈতিক কিছু ইস্যু আছে, সেগুলো তিনি রিজলভ করেননি। এ ধরনের অনেক কিছু আছে যেগুলো যথেষ্ট একটা লিগ্যাল প্রসেসকে আরও শক্তিশালী করার জন্য।
খায়রুজ্জামানকে ফেরাতে প্রয়োজন হলে জাতিসংঘের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে বলেও জানান প্রতিমিন্ত্রী।
তিনি বলেন, অপরাধীকে তো অবশ্যই একটা রিফিউজি স্ট্যাটাস দিয়ে রেখে দেয়া যৌক্তিক নয়। প্রয়োজন হলে আমরা জাতিসংঘকেও জানাব এবং আমরা বিশ্বাস করি তাদেরকে বোঝাতে পারব। কারণ তার রিফিউজি স্ট্যাটাস দরকার নেই। রিফিউজি কারা হন, একজন সাধারণ ও সবল মানুষ; আর্থিকভাবে স্বচ্ছল মানুষ কখনও রিফিউজি হতে পারেন না। তাহলে তো সব অপরাধী কোনো না কোনো দেশে গিয়ে স্ট্যাটাস চাইবে। এটা যৌক্তিক না। আমরা প্রয়োজনে সেটা জাতিসংঘকে ব্যাখ্যা করব।
খায়রুজ্জামান সাবেক সেনা কর্মকর্তা। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন তিনি। ওই হত্যাকাণ্ডের পর তার চাকরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়। ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি মিয়ানমার, মিসর ও ফিলিপাইনে বাংলাদেশ মিশনে বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন তিনি।