ঢাকা : আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জের রিটে দ্বিধা বিভক্ত আদেশ দিয়েছে হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ। এই বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ফরিদ আহম্মদ রুল জারির আদেশ দিলেও অপর বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ রিট আবেদনটি খারিজ করে দেন। রোববার জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ফরিদ আহম্মদ তার আদেশে বলেন, সংশোধনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন-১৯৭৩ এ ‘ব্যক্তি ও ব্যক্তিবর্গ’ যোগ করা কেন সংবিধান বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ১৯ ধারা অনুসারে সংবিধানের ৪৭(৩) অনুচ্ছেদে ‘কোন ব্যক্তি, ব্যক্তিবর্গ বা সংগঠন’ যুক্ত করা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, সরকারকে তা জানাতে হবে। আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলেন তিনি। অন্যদিকে কনিষ্ঠ বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দেন। চট্টগ্রামের আইনজীবী মোরশেদুর রহমান চৌধুরীর ‘জনস্বার্থে’ করা এই আবেদনে শুনানি করেন টি এইচ খান। সরকার পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। টি এইচ খান বলেন, এখন মামলাটি প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। প্রধান বিচারপতি তৃতীয় বিচারপতি ঠিক করলে সেখানে মামলাটি নিস্পত্তি হবে। “আদালতের আদেশ পক্ষে এলে আইনজীবীরা বলেন, মাচ অবলাইজড আর হারলে বলেন, এজ ইউর লর্ডশিপ প্লিজড। আমিতো সমস্যায় পড়ে গেলাম। আমি কি বলবো। আমি বলছি, মে আল্লাহ ব্লেস আস টু সেন্স অব জাস্টিস”, বলেন এই আইনজীবী। টি এইচ খান সাংবাদিকদের বলেন, “আমার ৬০ বছরের আইন পেশায় এভাবে রুলে দ্বিমত পোষণ করার দৃষ্টান্ত দেখিনি। এই আমলে দ্বিমতের রায়ের বিস্ফোরণ ঘটেছে।” “মানুষের শেষ ভরসা কোর্ট কাচারি। কিন্তু এখন আমাদের আল্লাহর কাছে প্রার্থণা করা ছাড়া উপায় নেই”, যোগ করেন তিনি। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। এই আদালতেই একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে জামায়াতে ইসলামীর ছয়জন এবং বিএনপির দুই নেতাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে এ আদালতে মামলা চলছে।