বার্তা৭১ ডটকমঃ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও অঙ্গরাজ্যের ক্লিভল্যান্ডে জানালাবিহীন একটি কনক্রিটের কামরায় একটি ছোট দোজখ (নরক) বানিয়েছেন একদল বিজ্ঞানী। তারা দাবি করছেন, এটি হলো ‘পৃথিবীতে দোজখের একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ’।
১৪ টন ওজনের এই চেম্বারটিকে বলা হয় গ্লেন এনভায়রনমেন্টস রিগ (জিইইআর)। এটি নাসা রিসার্চ সেন্টারে অবস্থিত। এই চেম্বারটি এখন ঠিক শুক্র গ্রহের মতোই বিষাক্ত, শ্বাসরুদ্ধকর ও প্রচন্ড উত্তপ্ত অবস্থা তৈরি করতে সক্ষম।
নাসা’র বিজ্ঞানীরা গত পাঁচ বছর ধরে এই প্রকল্পটি তৈরি করছেন। ২০১৪ সালে ওটি প্রথমবারের মতো চালু করা হয়। তারপর থেকে বিজ্ঞানীরা এতে সব রকম ধাতব দ্রব্য দিয়ে দেখেছেন কোনটি থাকে আর কোনটি ছাই হয়ে যায়। এভাবে তারা দেখতে চাইছেন কীভাবে এমন একটি মহাকাশযান তৈরি করা যায়, যা শুক্র গ্রহে নামামাত্র ধ্বংস না হয়ে মাসের পর মাস, এমনকী বছরের পর বছরও টিকে থাকবে।
প্রকল্পে কর্মরত বিজ্ঞানী গুস্তাভো কস্তা বলেন, শুক্র গ্রহে সর্বশেষ নভোযান ভেনেরা-১৩ পাঠানো হয়েছিল ১৯৮২ সালে। সেটি টিকেছিল দুই ঘণ্টা সাত মিনিট। শুক্র আসলে খুব উত্তপ্ত একটি গ্রহ।
তারপরও এই গ্রহটি নিয়ে বিজ্ঞানীদের আগ্রহের একটা বড় কারণ হচ্ছে, একে মনে করা হয় পৃথিবীর মৃত যমজ বলে। এই পাথুরে গ্রহটির ৮২% ভর এবং ৯০% সারফেস গ্র্যাভিটি পৃথিবীর অনুরূপ। এর কক্ষপথগুলোও সূর্যের হ্যাবিটেবল জোনে (যেখানে তরল পানির অস্তিত্ব থাকতে পারে) অবস্থিত। বিজ্ঞানীদের কেউ কেউ মনে করেন, ২০০ কোটি বছর আগে এই গ্রহটি ছিল উষ্ণ, এখানে অগভীর সমুদ্রও ছিল। সব মিলিয়ে এটি প্রাণীর বসবাসের উপযোগী ছিল।
তবে সৌরজগতে শুক্র এখন একদিকে সবচেয়ে খারাপ একটি জায়গা, অন্যদিকে আবার আমাদের পৃথিবীকে আরো ভালোভাবে জানার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। নাসা’র বিজ্ঞানীরা সে কাজটিই করে চলেছেন। সূত্র : ইয়াহু