বার্তা৭১ ডটকমঃ শিক্ষা সনদ ও জমাকৃত মনোনয়ন ফর্মে জন্মতারিখ মিল না থাকায় ছাত্রলীগের তিন সাধারণ সম্পাদক প্রত্যাশীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। পদপ্রত্যাশী এই তিন ছাত্রলীগ নেতা হলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কৃষি সম্পাদক রাইসুল ইসলাম জুয়েল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহ-সভাপতি এনায়েত হোসেন রেজা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম।
আগামী শনি ও রবিবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে ছাত্রলীগের ২৮তম জাতীয় সম্মেলন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। জানা গেছে, রাইসুল ইসলাম জুয়েল প্রার্থিতার আবেদনে জন্মতারিখ ১৯৮৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর উল্লেখ করলেও শিক্ষা বোর্ডের নথি অনুযায়ী প্রকৃত তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ১৯৮৫।
এ ছাড়া, এনায়েত হোসেন রেজার প্রদত্ত জন্মতারিখ ২৫ নভেম্বর ১৯৮৬ হলেও নির্বাচন কমিশন বলছেন প্রকৃত তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৮৫।
এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর এনায়েত হোসেন রেজা ও তার সমর্থকরা ছুটে আসেন ছাত্রলীগের গুলিস্তান পার্টি অফিসে এবং একটি স্বহস্ত লিখিত একটি দরখাস্ত দেন যেন পুনরায় পুনরিক্ষন করে তার প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করা হয় ।
এ প্রসঙ্গে এনায়েত হোসেন রেজার সাথে কথা বললে তিনি জানান- নির্বাচন কমিশন কোন বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ও উপাত্তের ভিত্তিতে আমার প্রার্থীতা বাতিল করেছে তা আমার বোধগম্য নয়। আমি আপিল করেছি, আমার দৃঢ় বিশ্বাস খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আমার প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করে আমাকে নির্বাচনে প্রতিদন্দিতা করার সুযোগ করে দেয়া হবে এবং আমি আশাবাদী জয় আমার হবেই।
পরবর্তীতে আমাদের পত্রিকার একটি অনুসন্ধানি দল এনায়েত হোসেন রেজার এস এস সি পরীক্ষার রোল নম্বর অনুসন্ধান চালিয়ে এনয়েত হোসেন রেজার পক্ষে সত্যতার প্রমাণ পাণ। এনায়েত হোসেন রেজার এস এস সি পরীক্ষার রোল নম্বর – ১৪১৯৭০। বোর্ড- ঢাকা বোর্ড । পাশের সাল- ২০০১। যার লিংক ণীছে দেয়া হল –
http://archive.educationboard.gov.bd/result.php
অন্যদিকে সিরাজুল ইসলাম তার জন্মতারিখ ১০ জুন ১৯৮৭ বললেও প্রকৃত তারিখ ১০ জুন ১৯৮৬।
অন্যদিকে সিরাজুল ইসলাম তার জন্মতারিখ ১০ জুন ১৯৮৭ বললেও প্রকৃত তারিখ ১০ জুন ১৯৮৬।
অন্যদিকে বাকি দুই জন প্রার্থীর সাথে আমাদের অনুসন্ধানী দল যোগাযোগ করতে ণা পারায় তাদের রোল নম্বর পাওয়া যায় নি ও সত্যতা পরীক্ষা করা যায় নি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই পদের প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২৯ বছর।
এ ছাড়াও অন্য সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকা, শিক্ষা সনদ না থাকা, বয়স না থাকা, চাকরিজীবী হওয়াসহ অন্যান্য কারণে আরও ১০ জন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আবেদনপত্র জমাদানকারীদের মধ্যে কমপক্ষে ২৫ জনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে।