বার্তা৭১ ডটকমঃ শুধু ক্রিকেটার হিসাবে নন, ব্যাক্তি মাশরাফির ভক্ত দেশজুড়ে অভাব নেই। তাই এই মানুষটি সম্পর্কে কৌতুহলের শেষ নেই। ২০০৯ সালের পর আর টেস্ট খেলতে পারেননি মাশরাফি বিন মর্তুজা। পায়ে একের পর এক অস্ত্রোপচার তাকে ক্রিকেটের অভিজাত শ্রেণি থেকে পুরোপুরি দুরে সরিয়ে দিয়েছে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও টেস্টকে বিদায় বলেননি বাংলাদেশের সেরা এই অধিনায়ক। এখনও মাঝে-মধ্যে বলেন, তিনি টেস্ট খেলতে চান। গত বছর বিসিএলের (চারদিনের ম্যাচ) একটি ম্যাচও খেলেছেন মাশরাফি। তিনি বিদায় বলেছেন টি-টোয়েন্টিকে। এখনও খেলে যাচ্ছেন ওয়ানডে ক্রিকেট।
গত বছর শ্রীলঙ্কা সফরের সময়ই আচমকা টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে দেন মাশরাফি। বোঝাই গিয়েছিল, সেটা ছিল তৎকালীন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কারসাজির ফল; কিন্তু সর্বশেষ বিপিএলে মাশরাফি বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি এই ফরম্যাটে এখনও কতটা উপযোগি। রংপুর রাইডার্সকে চ্যাম্পিয়ন করিয়েছেন তিনি।
এরপরই নানা মহল থেকে দাবি উঠতে থাকে, মাশরাফিকে টি-টোয়েন্টিতে ফেরানোর। এমনকি বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনও ব্যক্তিগতভাবে বলেছেন, মাশরাফিকে টি-টোয়েন্টিতে ফিরে আসার অনুরোধ জানাবেন। বিসিবির একাধিক পরিচালক এবং কর্মকর্তাও নানান সময় মাশরাফির টি-টোয়েন্টিতে ফিরে আসার কথা বলেছেন।
কিন্তু সব অনুরোধকেই উপেক্ষা করে চলছেন মাশরাফি। তার কথা, অবসরের ঘোষণা যখন দিয়েই ফেলেছি, আর ফিরে আসবো না। সম্প্রতি গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, মাশরাফি টেস্ট খেলতে চান। সে লক্ষ্যে বিসিএলের একটা কিংবা দুটা রাউন্ডে খেলারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যদিও ৫ রাউন্ডের খেলা শেষ ইতোমধ্যে। বাকি আছে আর একটি। শেষ রাউন্ডে মাশরাফি খেলবেন কি না এখনও নিশ্চিত নয়। ২৪ এপ্রিল থেকে শুরু হবে বিসিএলের শেষ রাউন্ডের খেলা।
মাশরাফির টেস্ট খেলার গুঞ্জন নিয়ে প্রশ্ন করা হয় প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর কাছে। সেখানে যদিও বিষয়টাকে এড়িয়ে যেতে চাইলেন প্রধান নির্বাচক। জানিয়ে দিয়েছেন, ওটা মাশরাফি এবং বিসিবির ব্যাপার। তিনি তো শুধুমাত্র হুকুমের গোলাম।
মাশরাফির টেস্টে ফেরা নিয়ে মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেন, এটা পুরোপুরি ওর এবং বিসিবির ব্যাপার। আমাদের যেটা নির্দেশ দেওয়া হবে ওভাবে আগাব। মাশরাফি যদি টেস্ট খেলতে চায় তাহলে খেলবে।
তবে মিনহাজুলরা মাশরাফিকে টেস্টে নয়, খুব বেশি করে চাচ্ছেন টি-টোয়েন্টিতে। সেখানেই তাকে বেশি প্রয়োজন। প্রধান নির্বাচক বলেন, আমরা চাচ্ছি, টি-টোয়েন্টিতে ও ফিরুক। ওখানে ওকে আমাদের বেশি দরকার।
তবুও যখন মাশরাফি নিজে থেকে টেস্ট খেলতে চান, তখন কি করা হবে? মিনাহজুল আবেদিন সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দিলেন না, জানিয়ে দিলেন বিবেচনা করা হবে। তিনি বলেন, একটা প্লেয়ার একটা ফর্ম থেকে রিটায়ার হয়ে গেলে, সেটা বাদ দিয়ে চিন্তা করতে হয়। তারপরও ও ফিরতে চাইলে ওর পারফরম্যণাস চিন্তা করে বিবেচনা করা হবে।