বার্তা৭১ ডটকমঃ গত ৪ মাসে দেশে বিচার-বহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন ৭৩ জন। এর মধ্যে ক্রসফায়ারে মারা গেছেন ৬৯ জন। আর গত এক মাসেই ক্রস ফায়ারে নিহত হয়েছেন ২৮ জন। মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের এক প্রতিবেদনে এতথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। গত ৪ মাসে গুমের শিকার হয়েছেন ১৪ জন।
মঙ্গলবার অধিকার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। অধিকারের প্রতিবেদনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকার বিরোধী মিছিল-সমাবেশে বাধা প্রদান এবং গ্রেফতারের বিষয়টিও তুলে ধরেছে। অধিকার অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার অথবা জাতিসংঘের সরাসরি তত্ত্বাবধানে অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছে।
অধিকারের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত চার মাসে দেশে ৭৩ জন বিচার-বহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন ৬৯ জন। গুলিতে ২ জন এবং নির্যাতনে মারা গেছেন ২ জন। নিহতদের মধ্যে জানুয়ারি মাসে ১৯ জন, ফেব্রুয়ারি মাসে ৭ জন, মার্চে ১৮ জন এবং এপ্রিলে বিচার-বহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন ২৯ জন। এই সময় গুমের শিকার হয়েছেন ১৪ জন। এরমধ্যে জানুয়ারিতে ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১ জন, মার্চে ৫ জন, এপ্রিলে গুম হয়েছেন ২ জন। গত ৪ মাসে কারাগারে মারা গেছেন ২৭ জন। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৫ জন, মার্চে ৯ জন এবং এপ্রিলে মারা গেছেন ৭ জন।
অধিকার বলেছে, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ একের পর এক মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে। অধিকারের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে বিএসএফ’র হাতে ৪ মাসে ৩ বাংলাদেশী নিহত হয়েছে। জানুয়ারি মাসে ২ জন এবং ফেব্রুয়ারিতে একজন নিহত হয়েছে। এই সময়ে আহত হয়েছে ৯ জন, অপহৃত হয়েছে ৩ জন। চার মাসে ২১ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। লাঞ্ছিত হয়েছেন ৭ জন, হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন ৬ জন।
৪ মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হয়েছেন ৩৪ জন। আহত হয়েছেন ১৮ শ’ চারজন। চার মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২৫১ জন নারী-শিশু। এরমধ্যে জানুয়ারি মাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে ৪৬টি, ফেব্রুয়ারি মাসে ৭৮টি, মার্চে ৬৬টি এবং এপ্রিলে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৬১টি। এই সময়ে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ৭৭ জন নারী। আর যৌতুক সহিংসতার শিকার হয়েছেন ৬৪ জন। গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন ২০ জন।