বার্তা৭১ ডটকমঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো কোটাই থাকবে না। যখন আন্দোলন হয়েছিল তখন সবাই আন্দোলনকারীদের পক্ষে ছিলেন। কেউ তাদের থামানোর চেষ্টা করেননি। আমরা নানাভাবে তাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু সবাই যাতে কোটা বাতিলের পক্ষে, তাই তা বাতিল করে দিয়েছে। এখন আমাদের হাতে আর কিছু নেই। কেউ এসে কান্নাকাটি করলে আমাদের কিছুই করার নেই। কেউ যদি চাকরি না পায় আমাদের কিছু করার নেই।
বুধবার বিকালে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এই কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন এবং তিনি সেই প্রশ্নের জবাব দেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে যারা সক্রিয় ছিল, তাদের সব ডাটা ও ছবি সরকারের কাছে রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, যারা আন্দোলনে সক্রিয় ছিল তাদের সব ডাটা তো আছে, ছবি আছে। তারা যদি পরে চাকরি না পেয়ে জেলা কোটার জন্য কান্নাকাটি করে তাতে আমার কিছু করার থাকবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ছাত্রছাত্রীরা কোটা চায় না বলেই সেটি বাতিল করে দিয়েছি। এখানে ক্ষোভের তো কোনো কারণ নেই। ছাত্রদের দাবি ছিল কোটা চায় না। তাই আমরা বাতিল করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, কোটা থাকবে কি থাকবে না সেটি ছাত্রদের বিষয় না। এটি সরকারের নীতি নির্ধারণের বিষয়। কিন্তু হঠাৎ করেই তারা কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমে গেছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব ছাত্রছাত্রী পড়ালেখা করে তারা তো নামকাওয়াস্তে পড়ে। বলতে গেলে বিনা পয়সায় সবাই পড়ালেখা করছে। তারপরও যেহেতু এত দাবি করছে, তাই আমি দাবি মেনে নিয়েছি। এটা নিয়ে এত কথার কী আছে?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাত্রদের আন্দোলনের সময় তো আপনাদের কাউকে দেখিনি, ছাত্রদের থামাতে এগিয়ে যেতে। আন্দোলনে কারা জড়ো হচ্ছে কই সেই বিষয়ে তো কেউ কথা বলেননি।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে গত ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদের বক্তব্য দিয়ে কোটা পদ্ধতি বাতিলের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘এ কয় দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্লাস বন্ধ। পরীক্ষা বন্ধ হলো। রাস্তায় যানজট। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ। মানুষ কষ্টে থাকবে কেন। কোটা পদ্ধতি থাকারই দরকার নেই। আমি কেবিনেট সেক্রেটারিকে বলেই দিয়েছি, সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বসে সিদ্ধান্ত নিতে।’