বার্তা৭১ ডটকমঃবিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, দলীয়চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ হলেও মানসিকভাবে শক্তিশালী।
তিনি জানান, খালেদা জিয়া আশা প্রকাশ করেছেন আগামী ৮ মে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় জামিন পাবেন।
শনিবার সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের পর কারাগার থেকে বেরিয়ে খন্দকার মাহবুব এসব কথা বলেন।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, খালেদা জিয়া মানসিকভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী। তিনি আমাদের বলেছেন, ‘আমাকে রাজনৈতিক কারণে জেলে রাখা হয়েছে, হয়তো সাজা দিয়েছে, সেখানে আমার কোনও সম্পৃক্ততা নেই। কোনও চেকে আমি সাইন করিনি। অযথা আমাকে এই সাজা দেয়া হয়েছে। আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ।’
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করার দাবি করে তিনি বলেন, সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর সুচিকিৎসা না করানো সরকারের অমানবিক আচরণ। তিনি মনোবল হারাননি। তিনিএখনও বিশ্বাস করেন, মিথ্যা মামলায় দেয়া সাজা বাতিল হবে এবং তিনি জামিন পাবেন।
অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আমরা আইনজীবীরা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। জেল কর্তৃপক্ষের সুপারিশের পরেও আমরা যা জানতে পারলাম, তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার ব্যাপারে সরকার গড়িমসি করছে।’
তিনি বলেন, ‘চেয়ারপারসনের ফিজিওথেরাপি করা দরকার জরুরি ভিত্তিতে। জেলখানায় ফিজিওথেরাপির ব্যবস্থা নেই। তার চিকিৎসকরাও ফিজিওথেরাপির পরামর্শ দিয়েছেন।’
এর আগে বিকাল ৪টায় খন্দকার মাহবুবসহ ৫ আইনজীবী খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে যান।
সাক্ষাৎ করতে যাওয়া অন্য আইনজীবীরা হলেন, আব্দুর রেজ্জাক খান, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
এ সময় কারাগারে আইনজীবীরা প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান করেন।
উল্লেখ্য, ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৫-এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামানের আদালত খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই আদালত খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয় আসামির প্রত্যেককে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা করে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন। এরপর থেকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারে রয়েছেন বিএনপি নেত্রী।