বার্তা৭১ ডটকমঃ বজ্রপাতে চার জেলায় আট জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দুই নারীসহ সাতজন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সুনামগঞ্জে পাঁচজন, হবিগঞ্জে একজন ও নেত্রকোনায় একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হওয়া ঝড় ও বজ্রবৃষ্টিতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
সুনামগঞ্জে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে দুই নারীসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন আরো চারজন। নিহতরা হলেন- তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের ভাটি তাহিরপুর গ্রামের মুক্তুল হোসেনের ছেলে কৃষক নূর হোসেন (২২), বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নের পুরানগাঁওয়ের হযরত আলীর স্ত্রী শাহানা বানু (৩৫), একই উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের ক্ষিরদরপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে সুরমা বেগম (২২), দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের ডুববন্ধ গ্রামের আরশাদ আলীর ছেলে ফেরদৌস (১২) ও দিরাই উপজেলার ৯ নম্বর কুলঞ্জ ইউনিয়নের টংগর গ্রামের মুসলিম উদ্দিন (৭৫)। সংশ্লিষ্ট উপজেলার ব্যক্তিবর্গরা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নে বজ্রপাতে জুবাইল মিয়া (২৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ওই ইউনিয়নের আলতাব হোসেনের স্ত্রী ফিরোজা বেগম আহত হয়েছেন। বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুন খন্দকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত জুবাইল মিয়ার পরিবারকে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলায় বৃষ্টিতে ভিজে নিজ জমিতে ধান কাটর সময় বজ্রপাতে ইসলাম উদ্দিন (৫৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ধান কাটার সময় বজ্রপাতে খোকন প্রামানিক (২৮) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও তিনজন শ্রমিক আহত হয়েছেন।
আগৈলঝাড়া উপজেলার চেঙ্গুটিয়া গ্রামের বেলাল তালুকদারের জমিতে ১০ জন শ্রমিক ধান কাটছিল। এসময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে চারজন শ্রমিক আহত হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে নিলে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শ্রমিক খোকন প্রামানিকে মৃত ঘোষণা করেন।