বার্তা৭১ ডটকম:মধ্যপ্রাচ্যে চিরশত্রু ইরান-ইসরাইল সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে যাচ্ছে। ইসরাইলের সেনাবাহিনী বলেছে, বুধবার রাতে তারা সিরিয়ায় কয়েক ডজন ইরানি সামরিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে।-খবর এএফপি ও গার্ডিয়ানের।
এর আগে গোলান মালভূমিতে তাদের অবস্থান লক্ষ্য করে অবিরাম রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর পরই তারা এই হামলা চালায়। গোলানে তাদের সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করার জন্য ইরানকে দায়ী করা হয়েছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জোনাথন কনরিকাস সাংবাদিকদের বলেন, তারা সিরিয়ায় ইরানি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। ইরানি গোয়েন্দা, রসদ, অস্ত্রভাণ্ডার ও যানবাহনসহ যেখান থেকে রকেট হামলা চালানো হয়েছে, সেসব স্থাপনা হামলার লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, সাম্প্রাতিক বছরগুলোতে ইসরাইলের এটাই সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান ও ইরানের বিরুদ্ধে সর্ববৃহৎ হামলা।
তবে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সানা জানিয়েছে, তারা বেশ কয়েকটি রকেট ধ্বংস করে দিয়েছে।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে অধিকৃত গোলান মালভূমিতে ইসরাইলের সেনাবাহিনীর অবস্থানে অন্তত ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলা চালিয়েছে ইরান।
ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ধ্বংস করেছে। তবে সবগুলো ধ্বংস করতে পারেনি।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ইরানও এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল জোনাথন কনরিকাস বলেন, ইরানি আল কুদস ব্রিগ্রেডের সদস্যরা এই হামলা চালিয়েছে। ইসরাইল এই হামলাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। এখানেই পরিস্থিতির অবসান ঘটছে না।
তিনি বলেন, আমরা উত্তেজনা বাড়াতে চাই না। তবে হামলার শিকার হলে তার জোরালো জবাব দেয়া হবে।
ইসরাইল কয়েক সপ্তাহ ধরে ইরানের কাছ থেকে পাল্টা হামলা মোকাবেলার প্রস্তুতি নিয়েছিল বলে তিনি জানিয়েছেন।
যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ায় ইরানের স্বার্থের বিরুদ্ধে ইসরাইলের বেশ কয়েকটি অভিযানের জবাবে ইরান প্রথমবারের এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।