বার্তা৭১ ডটকমঃ নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত খুলনা সিটি করপোরেশন এলাকায় বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী, সমর্থককে গ্রেফতার বা হয়রানি না করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার শুনানি নিয়ে বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো: আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
পুলিশের মহাপরিদর্শক, খুলনার পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপারের প্রতি এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিগত কয়েকদিন খুলনায় গণগ্রেফতারের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো: শাহজাহান জনস্বার্থে এই রিট করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী কায়সার কামাল, নওশাদ জমির, মীর মোহাম্মাদ হেলাল প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
এ ছাড়া রুল জারি করেছেন আদালত। রুলে খুলনার বিএনপির নেতা-কর্মী, সমর্থক, ভোটের প্রচারণাকারীদের খুলনা মহানগর পুলিশ কর্তৃক গণগ্রেফতার ও হয়রানি আপিল বিভাগের নির্দেশনার পরিপন্থী কেন ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
নির্বাচন কমিশন, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, খুলনার পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপারকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মওদুদ আহমদ বলেন, খুলনায় নির্বাচনী প্রচারণার সময় বিএনপির নেতা-কর্মীদের যেভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেটা আইনসম্মত নয় এবং সুপ্রিম কোর্টের রায় পরিপন্থী। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে অমান্য করে এটা করা হচ্ছে। তারা আইন মানছেন না। আইন অমান্য এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা রিট ফাইল করি। শুনানি নিয়ে আদালত বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী, সমর্থককে গ্রেফতার বা হয়রানি না করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মওদুদ আরো বলেন, সাদা পোশাকধারীরা যেভাবে গ্রেফতার করছে এটা আমাদের দেশের আইনের পরিপন্থী। এ বিষয়ে আমাদের সুপ্রিম কোর্টের একটি বিখ্যাত রায় রয়েছে। ওই রায়ে বলা হয়েছে, এ ধরনের কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না। কীভাবে করতে হবে, কোনটা সঠিক হবে, কোনটা সঠিক হবে না, সে গাইডলাইন দেয়া আছে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, বিএনপির এক ভাইস চেয়ারম্যান একটি রিট করেছেন জনস্বার্থে। কিন্তু এটা জনস্বার্থ নয়, দলীয় স্বার্থ। কারণ তারা একটাও সুনির্দিষ্টভাবে গ্রেফতারের তথ্য দেখাতে পারেনি যে মামলা ছাড়া কাউকে আটক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, উভয়পক্ষে শুনানি শেষে আদালত গ্রেফতারসংক্রান্ত আপিল বিভাগের নির্দেশনা ভঙ্গ করে খুলনায় গ্রেফতার বা হয়রানি না করার নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, আগামীকাল ১৫ মে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।