বার্তা৭১ ডটকমঃ সরকারি চাকরির কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনায় গঠিত কমিটি তিনটি বিষয় নিয়ে কাজ করবে। এগুলো হচ্ছে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা, সংস্কার ও বাতিলের বিভিন্ন দিক ব্যাখ্যা করা।
কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপনে কমিটির কার্যপরিধিতে এসব বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে- বর্তমান কোটা পদ্ধতি সংস্কার বা বাতিলের প্রয়োজন হলে তার যৌক্তিকতা তুলে ধরে সুপারিশ করতে হবে কমিটিকে। কমিটি ১৫ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। কমিটি প্রয়োজন মনে করলে যে কোন বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিকে কো-অপ্ট করতে পারবে।
সোমবার রাতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমকে আহবায়ক করে সাত সদস্যের সচিব কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন-লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, অর্থ সচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব অপরুপ চৌধুরী, বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয়ের সচিব আকতারী মমতাজ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহম্মদ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান।
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে বর্তমানে ৫৫ শতাংশ নিয়োগ হয় কোটায়। বাকি ৪৫ শতাংশ নিয়োগ হয় মেধারভিত্তিতে। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতেও আছে বিভিন্ন ধরনের কোটা। সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন।