ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগে ৩ সদস্যের প্যানেল মনোনয়নের এজেন্ডা রেখে সিনেট অধিবেশন আহ্বানে উপাচার্যকে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
শিক্ষা সচিব, ঢাবি ও এর উপাচার্যকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে এ ধরনের অধিবেশন আহ্বানে বিবাদিদের ব্যর্থতাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ রুল চেয়ে রিট আবেদনটি করেন। আগামী ১১ জুন শুনানির জন্য দিন ঠিক করেছেন আদালত।
ঢাবির শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক অহিদুজ্জামান সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেন।
তবে রিট আবেদনে নিজের এ পরিচয় ব্যবহার না করে অহিদুজ্জামান নিজেকে ‘সিনেট সদস্য’ এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসাবে পরিচয় দিয়েছেন।
আদালতে রিট আবেদনকারীর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ২০০৯ সালের ১৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য অধ্যাপক আআমস আরেফিন সিদ্দিককে সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে দায়িত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর।
তখন সিনেট না থাকার কারণে এটা করা প্রয়োজনও ছিল-এ কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, কিন্তু সিনেটের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা দায়িত্ব নিলেও তিনি নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ছিলেন এএফএম মেজবাহ উদ্দিন।