বার্তা৭১ ডটকমঃ স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস আজ। যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদার সঙ্গে শ্রদ্ধাভরে দিবসটি পালন করছে দেশবাসী।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এবার সামাজিক দূরত্ব মেনে সরকার এবং আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন দেশজুড়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করছে।
দিনটি সরকারি ছুটির দিন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়। সেসময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা- বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তার তিন ছেলে- ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল এবং দশ বছর বয়সী শেখ রাসেল, দুই পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল, ভাই শেখ নাসের, কৃষক নেতা আবদুর রব সেরনিয়াবাত, যুব নেতা শেখ ফজলুল হক মনি এবং তার স্ত্রী আরজু মনি, শিশু সেরনিয়াবাত, সুকান্ত বাবু, আরিফ ও আবদুল নাঈম খান রিন্টুসহ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের আঠারোজন সদস্য সেদিন নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।
সেই সাথে বঙ্গবন্ধুর সামরিক সচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল উদ্দিন আহমেদ (বীর উত্তম) নিহত হন। একই দিনে খুনিদের কামানের গোলায় মারা যান রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার একই পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যও।
দিবসটি পালনে সব সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে।
সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সেই সাথে বনানী করবস্থানে বঙ্গবন্ধুর শহীদ পরিবারের সদস্যদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং ফাতেহা পাঠ করা হয়েছে। খবর ইউএনবির
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ এবং বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ যোহর নামাজের পর দেশের সব মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন থাকছে।
বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বেসরকারি টিভি ও রেডিও স্টেশনগুলো বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করছে। সংবাদপত্রগুলো প্রকাশ করেছে বিশেষ ক্রোড়পত্র।
এদিকে, ১৫ আগস্ট ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ৯০ টাকার মূল্যের ১৮টি ডাকটিকিটের একটি সেট, ১০ ও ১০০ টাকা মূল্যের দুটি উদ্বোধনী খাম এবং একটি ৫ টাকার ডাটা কার্ড অবমুক্ত করেছে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে এক অনুষ্ঠানে স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও ডাটাকার্ড আনুষ্ঠানিকভাবে অবমুক্ত করেন।