বার্তা৭১ ডটকমঃ মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক হাকিম তামান্না ফারাহ এ আদেশ দেন।
এরা হলেন- এপিবিএনের এএসআই শাহজাহান, কনস্টেবল রাজীব ও আব্দুল্লাহ।
র্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি খায়রুল ইসলাম বলেন, র্যাব তিনজনের দশ দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছিল। শুনানি শেষে বিচারক সাত দিন মঞ্জুর করেছেন।
এর আগে সোমবার রাতে টেকনাফের এপিবিএনের ফাঁড়ি থেকে এপিবিএনের তিন সদস্যকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান, র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফট্যানেন্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।
তিনি জানান, সিনহা যেদিন পুলিশের গুলিতে নিহত হন, এই তিনজন তখন এপিবিএনের শামলাপুর টেকপোস্টে দায়িত্বরত ছিলেন।
এপিবিএনের সদস্যদের কখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র্যাবের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম বলেন, সুবিধাজনক সময়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সিনহা হত্যা মামলায় এ নিয়ে মোট ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হল, যাদের মধ্যে তিনজন ছাড়া বাকি সবাই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।
গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান।
সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস গত ৫ আগস্ট কক্সবাজারের হাকিম আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন, সেখানে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকতসহ নয়জনকে আসামি করা হয়।
তাদের মধ্যে ওসি প্রদীপসহ সাত পুলিশ সদস্য ৬ আগস্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
পুলিশের গুলিতে সিনহার নিহতের ঘটনায় টেকনাফ থানায় পুলিশ যে মামলা করেছিল, তার তিন সাক্ষীকেও ১১ আগস্ট র্যাব গ্রেপ্তার করে।
হত্যার ঘটনায় টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা ওই তিনজনেরও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে বলে সে সময় র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়।