বার্তা৭১ডটকম (১৫ মে ২০১২) : গ্লোবাল এডাল্ট টোবাকো সার্ভে অনুসারে দেশে ৪ কোটি ২০ লাখ লোক পরোক্ষভাবে ধূপমানের শিকার হচ্ছে। এর মধ্যে ১ কোটি নারী। কর্মেক্ষেত্রে শতকরা ৬৩ এবং পাবলিক প্লেসে ৪৫ ভাগ ধূমপানের শিকার। শুধুমাত্র রেস্তোরাঁয় ২ কোটি ৫৮ লাখ মানুষ পরোক্ষভাবে ধূমপানের শিকার হচ্ছে।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের ‘এ স্টেপ টুওয়ার্ড স্মোক ফ্রি ঢাকা সিটি’ প্রকল্পের উদ্যোগে ১৫ মে ২০১২ সকাল ১১টায় ধানমন্ডিস্থ মিশন ভবন অডিটোরিয়ামে তামাক নিয়ন্ত্রণ ও পরো ধূমপান বিষয়ে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিকদের সাথে এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা একথা বলেন।
বক্তারা বলেন, ২০০৫ সালের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের দুর্বলতার কারণে দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তামাক ও তামাকজাত পণ্যের মতো নীরব ঘাতক আস্তে আস্তে আমাদের গ্রাস করছে। অসংক্রমিত বিভিন্ন রোগ ব্যাধি যেমন ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্ট্রোক, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি ধীরে ধীরে মহামারী আকার ধারণ করছে। তামাক বা তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার মানুষের ক্ষতি ছাড়া কোনো উপকার করে না।
গোলটেবিল বৈঠক সঞ্চালনা করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট কাজী রফিকুল আলম। এ ছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকার অনলাইন এডিটর গোলাম তাহাবুর, ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রী কীডস-এর মিডিয়া এন্ড এ্যাডভোকেসী সমন্বয়কারী তাইফুর রহমান, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সহকারী পরিচালক ইকবাল মাসুদ, বাংলাভিশন টেলিভিশনের সাংবাদিক রুহুল আমিন রুশদসহ সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ।
বক্তারা আরও বলেন, তামাকের মধ্যে এমন কোনো উপাদান নেই যা মানুষের সামান্য উপকার করতে পারে। তারপরও এর ব্যবহার কমছেনা বরং বেড়েই চলেছে। একজন ধূমপায়ী নিজের যেমন তি করছেন তেমনি তার চারপাশের লোকজনেরও একই ধরণের ক্ষতি করছেন। বিশ্বায়নের এই যুগে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার বা নিয়ন্ত্রণে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
Tamak Nientoron Kariray Dhumpan Kore….. Proshashon Ke Agge Shortorko Hote Hobe………………………….