বার্তা৭১ ডটকমঃ ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামালের পরিবার ও চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের দ্বাদশগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম বকাউলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে ও সন্ত্রাসী সিরাজুল ইসলামকে গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে সচিব পরিবার।
শুক্রবার সন্ধ্যায় হাজীগঞ্জ বাজারস্থ বসুন্ধরা চাইনিজ রেস্টুরেন্টে দ্বাদশগ্রাম ইউনিয়নের সন্ত্রাসী সিরাজের পরিবারের মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেনে সচিব পরিবার ও ইউপি চেয়ারম্যানের পক্ষে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন সচিবের ভাতিজা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম শাহজাহানের ছেলে মো. শাহিদুল হক প্রধানিয়া।
লিখিত বক্তব্যের শুরুতেই তিনি মিথ্যা অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ঘটনার সত্যতা তুলে ধরেন, গত ১৪ আগষ্ট (শুক্রবার) পূর্ব বিরোধের জেরে জেলা যুবদলের সাবেক সদস্য সিরাজুল ইসলাম আমার পিতা, দ্বাদশগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সিনিয়র সচিব জনাব মো. শাহ কামালের বড় ভাই একেএম শাহজাহান প্রধানীয়াকে গালমন্দ করেন। এসময় আমার ভাই সাজ্জাদুল হক রিমন প্রতিবাদ করলে, তাকে টেঁটা দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করেন। এতে আমার বাবা বাধা দিলে সিরাজুল ইসলাম আমার পিতার উপর অতর্কিত হামলা করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা করাই। চিকিৎসক ভর্তির পরামর্শ দিলে আমার পিতার শারিরিক অবস্থা ও করোনা ভাইরাসের কথা বিবেচনা করে আমরা হাসপাতালে ভর্তি করাইনি। এরপর আমার বাবা ও আমাদের পরিবারের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে হাজীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং- ৫৭১) করি। এর মধ্যে বিষয়টি জানতে পেরে ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম বকাউল আমাদের বাড়িতে আসেন। তিনি বিষয়টি মিমাংসা ও শান্তির লক্ষ্যে উভয় পক্ষকে চেয়ারম্যান কার্যালয়ে আসার অনুরোধ করেন। পরে তিনি আমাদের বাড়ি থেকে চলে যান। ঘটনার এক সপ্তাহ পর সিরাজুল ইসলামের পরিবার উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে আমার চাচা সাবেক সিনিয়র সচিব ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নাম উল্লেখ করে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করে। প্রকৃত পক্ষে এ ঘটনার সাথে আমার চাচা সাবেক সিনিয়র সচিব ও ইউপি চেয়ারম্যানের কোন সম্পৃক্ততা নেই। তিনি (সিরাজুল ইসলাম) উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে সংবাদ তৈরী করে সচিব পরিবার ও ইউপি চেয়ারম্যানের নামে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, সিরাজুল ইসলাম ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নে জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক আওয়ামী লীগের মনোনিত নৌকার প্রার্থী মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপির বিপক্ষে অবস্থান করে। তিনি উল্লেখিত নির্বাচন গুলোতে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে মহড়া দেন এবং ভোট কেন্দ্রে তালা দিয়ে ব্যালেট পেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন। তিনি (সিরাজুল ইসলাম) সেই ধারাবাহিকতা এখনো অব্যাহত রেখেছেন। যার প্রমান এই হামলা এবং সচিব পরিবার ও ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তিনি মিথ্যা অপবাদ প্রচার। কারন, ঘটনার এক সপ্তাহ পরে সংবাদ সম্মেলন কি প্রমান করে ? এ ছাড়াও সিরাজুল ইসলামের পরিবার নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। অথচ তারা এলাকা ছাড়া বলে মিথ্যা রটাচ্ছেন। উনি (সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী সালমা ইসলাম) সংবাদ সম্মেলনে তার স্বামীর চিকিৎসার জন্য এ্যাম্বুলেন্স আটকানো এবং তার বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাটের কথা বলেছেন। অথচ ওই দিন আমরা আমার বাবা একেএম শাহজাহানকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থান করছি। সেখান থেকে হাজীগঞ্জ থানায় গিয়ে জিডি করি। জিডি করে বাড়ি (কাপাইকাপ) পৌছি ওই দিন রাত ১০টায়। এসব কিছুই প্রমান করে এ ঘটনার সাথে আমার পরিবার জড়িত নয়। তাই, আমার চাচা সাবেক সিনিয়র সচিব মো.শাহ কামালের পরিবার ও ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম বকাউলের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রনোদিত এমন মিথ্যা অপপ্রচারের সত্যতা যাচাই পূর্বক সত্য ঘটনা তুলে ধরার জন্য আপনাদের প্রতি অনুরোধ রাখছি।