নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন করার দাবি না মানা হলে সরকার পতনের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর।
মঙ্গলবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা আশা করছি, আগামী ১০ জুনের মধ্যে সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। তারা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পদ্ধতি মেনে নিয়ে এই সময়সীমার মধ্যে ঘোষণা দেবেন। এই দেশ গণঅভ্যুত্থানের দেশ। দাবি না মানলে জনগণই সরকারের কাছ থেকে দাবি আদায় করে নেবে।
‘গুম-হত্যার বিরুদ্ধে’ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে ফখরুল বলেন, সরকারের সংশ্লিষ্টতায় রাজনৈতিক নেতাদের জরবদস্তি গুম কিংবা নিখোঁজ করে দেয়া হচ্ছে। এভাবে গত সাড়ে তিন বছরে ১২৭ জনকে গুম করা হয়েছে, যা যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের চেয়ে কম নয়।
ফখরুল বলেন, একের পর এক ব্যর্থতা আড়াল করতে সরকার দমননীতির পথ বেছে নিয়েছে। একদিকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। অন্যদিকে নিজেদের সব মামলা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে।
সরকার ‘দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত’ দাবি করে তিনি বলেন, পদ্মাসেতু নির্মাণ প্রকল্পে সরকারের দুর্নীতি বিশ্বব্যাংকের কাছে প্রমাণিত হয়েছে। দেশের পুঁজিবাজার ও ব্যাংকের অর্থ লুট করছে তারা। বিদ্যুৎখাত থেকে তারা কোটি কোটি লুট করছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহসভাপতি ও বিএনপির বর্তমান যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে সাবেক ছাত্র নেতা আসাদুজ্জামান রিপন, ফজলুল হক মিলন, হাবিবুর রহমান হাবিব, মুস্তাফিজুর রহমান বাবুল, খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, নাজিম উদ্দিন আলম, খোন্দকার লুৎফর রহমান, আসাদুজ্জামান আসাদ, সাইফুদ্দিন মনি, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, শাম্মী আখতার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।