বার্তা৭১ ডটকমঃ ঢাকা-৫ (ডেমরা ও মতিঝিল) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. কাজী মনিরুল ইসলাম বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। প্রায় পৌনে পাঁচ লাখ ভোটারের এই আসনে ভোট পড়েছে মাত্র ১০ শতাংশ। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৬৪২ ভোট। আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ২ হাজার ৯২৬ ভোট।
শনিবার (১৭ অক্টোবর) রাত পৌনে ১০টায় ঢাকা-৫ আসনের বেসরকারি ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা জি এম সাহাতাব উদ্দিন। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট নেওয়া হলেও ভোটগ্রহণের পর ফল ঘোষণা করতে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা সময় লেগেছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার ঘোষিত বেসরকারি ফলাফলে ঢাকা-৫ আসনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. কাজী মনিরুল ইসলাম নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৬৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি‘র প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমেদ ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন মাত্র ২ হাজার ৯২৬টি। এদিকে, সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির প্রার্থী মীর আব্দুস সবুর লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৪১৩টি। এছাড়া বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. আনছার রহমান শিকদার ৪৯ ভোট ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. আরিফুর রহমান (সুমন মাস্টার) পেয়েছেন ১১১ ভোট।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এই আসনের মোট ভোটার ৪ লাখ ৭১ হাজার ৭১ জন। এর মধ্যে নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৪৯ হাজার ১৪১টি। কোনো ভোট বাতিল হয়নি। সে হিসাবে ভোটের হার ১০ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
এর আগে, শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ঢাকা-৫ আসনের ১৮৭টি ভোটকেন্দ্রে বিরতিহীনভাবে ভোট নেওয়া হয়। এ আসনে ছয় জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এই নির্বাচনে তেমন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে বিএনপি প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহম্মেদ দুপুর ১২টার দিকে অভিযোগ করে বলেন, ৯৫ ভাগ কেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। এজন্য ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ কেন্দ্রে তাদের এজেন্ট নেই।
তবে শেষ দেখার ঘোষণা দিয়ে বিএনপি প্রার্থী বলেন, তারা যেভাবে ত্রাস সৃষ্টি করেছে, এতে করে জনগণ তাদের ভোট দিতে পারছে না। তবুও আমি শেষ পর্যন্ত দেখব এবং শেষ পর্যন্ত থাকব।
গত ৬ মে ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। গত ৩ সেপ্টেম্বর এই আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৪৮, ৪৯, ৫০, ৬০, ৬১, ৬২, ৬৪, ৬৫, ৬৬, ৬৭, ৬৮, ৬৯ ও ৭০ নম্বর ওয়ার্ড (ডেমরা ও মতিঝিল) নিয়ে ঢাকা-৫ আসন গঠিত। ডিএসসিসি’র ১৪টি ওয়ার্ডে মোট ১৮৭টি কেন্দ্রের ৮৬৪টি কক্ষে ভোট নেওয়া হয় এই উপনির্বাচনে।