বার্তা৭১ ডটকমঃ সিলেট এমসি কলেজে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় যৌথ অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। সোমাবার (১৯ অক্টোবর) এ প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী জানিয়েছেন, এমসি কলেজে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় যৌথ অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে।মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে।
জানা গেছে, সিলেটের এমসি কলেজে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনা অনুসন্ধানে হাইকোর্ট গত ২৯ সেপ্টেম্বর এক আদেশে একটি যৌথ কমিটি গঠন করেন। সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এবং অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনারের সমন্বয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়। পাশাপাশি কমিটির সদস্যদের নিরাপত্তা ও তাদের সহযোগিতা করতে পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেয়া হয়। অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারি করেন আদালত। রুলে নিরপরাধ গৃহবধূর নিরাপত্তা দিতে অবহেলা ও ব্যর্থতা এবং কলেজ ক্যাম্পাসে অছাত্রদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এমসি কলেজের অধ্যক্ষ ও হল সুপারের নীরবতার কারণে তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণের শিকার হন ওই গৃহবধূ। স্বামীকে বেঁধে রেখে ও মারধর করে গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওই রাতেই শাহপরাণ থানায় মামলা হয়। মামলায় এম. সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমানের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
এরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আসামিদের মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত, বাকিরা এমসি কলেজের ছাত্র। এরই মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকল আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে এনে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আবেদন জানান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মেসবাহ উদ্দিন। এরপর শুনানি শেষে আদালত আদেশ দেন।