ঢাকা, ১৬ মে: তেজগাঁও শিল্প এলাকায় অবৈধভাবে প্লট আকারে জমি বরাদ্দ নেওয়ায় যায়যায়দিন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমানকে তলব করেছেন হাই কোর্ট।
আগামী ২৩ মে তাকে স্বশরীরে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে। কোন ভিত্তিতে তিনি ওই প্রকল্পের প্লট বরাদ্দ পেয়েছেন তা জানতে চেয়ে তাকে তলব করা হয়েছে।
বুধবার বিচারক এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোটের দ্বৈতবেঞ্চ তাকে আদালতে তলবের নির্দেশ দেন।
বুধবার হাই কোর্টের তলবে হাজির হন সাবেক দুই প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়া ও মেজর অব. কামরুল ইসলাম। তাদের রুলের শুনানির সময় রাজউকের চিফ ইঞ্জিনিয়ারে কাছে আদালত জানতে চান যে কোন ভিত্তিতে কারা এসব প্লট বারদ্দ দিয়েছেন। ওই সময় কোনো কমিটি হয়েছিল কিনা এবং ওই কমিটিতে কারা ছিলেন।
তখন চিফ ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ ভূইয়া আদালত কে বলেন, “আমি ২০১১ সালের ১৭ আগস্ট কর্মে যোগ দেই। সে কোন উত্তর না দেয়ায় আদলত অন্য একজন এ্যসিস্টান্ড ইঞ্জিনিয়ারকে বলেন, আপনি কি বলতে পারবেন কে কে ওই সময় বরাদ্দ পেয়েছেন এবং কারা ওই বরাদ্দ কমিটিতে ছিলেন।
তখন তিনি আদালত কে বলেন, সাংবাদিক শফিক রেহমান পেয়েছিলেন। আদালত বলেন, যায়যায়দিনের সম্পাদক শফিক রেহমান ? হ্যাঁ । আদালত জানতে চান আরো কোন ভাগ্যবান সাংবাদিকের নাম বলতে পারবেন। এ্যসিস্টান্ড ইঞ্জিনিয়ার বলেন, সাংবাদিকদের নাম বলতে পারবো না তবে কিছু মিডিয়াকে দেয়া হয়েছে। তখন তিনি শুধুমাত্র বৈশাখী মিডিয়ার নাম বলতে পারলেন। আদালতের পিছনের আসনে বসা মেজর কামরুলের স্ত্রী বলেন, সমকালও বরাদ্দ পেয়েছে আমার স্পষ্ট মনে আছে।
পরে আদালত সাংবাদিক শফিক রেহমানকে তলবের আদেশ দেন। শুনানির শেষে আদেশে দুই প্রতিমিন্ত্রী মেজর কামরুল ইসলাম ও জিয়াউল হক জিয়ার (ঢাকা মেট্টোর ভেতরে) কি পরিমান জমি, বাড়ি ও সম্পদ আছে তার বিবরণ এভিডেভিট আকারে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২২ মে।
এর আগে গত ৯ মে হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্পে রাস্তা ও নকশা-ছাড়া জমিতে বরাদ্দ দেয়া প্লটের পরবর্তী কার্যক্রমে স্থগিতাদেশও দেন হাই কোর্ট। একই সঙ্গে রাস্তার জমি এবং ‘নকশা-বহির্ভূত জমি’ প্লট হিসেবে বরাদ্দ দেয়া কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।