গভীর রাতে ডিবি পুলিশের একটি টিম নিখোঁজ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর বাসায় তল্লাশির চেষ্টা চালিয়েছে। এ ঘটনায় পুরো পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। জানা গেছে, রাত ১টার দিকে সিভিল পোশাকের তিন যুবক বনানীর ন্যাম ফ্ল্যাট এলাকার ‘সিলেট হাউজ’-এর গেটে সজোরে ধাক্কা দিতে থাকে। এ সময় তারা চিৎকার করে দারোয়ানকে গেট খুলে দিতে বলে। বন্ধ গেটের বাইরে থাকা তিন যুবককে দেখতে পেয়ে দারোয়ান তাদের পরিচয় জানতে চায়। প্রথমে পরিচয় না দিলেও একপর্যায়ে তারা বলেন, ‘আমরা ডিবি পুলিশ। গেট খুলে দে। তল্লাশি চালাবো। এ বাড়িতে কে কে থাকে তার তালিকা করবো।’ এ ঘটনায় হতচকিত দারোয়ান গেট না খুলে দৌঁড়ে ওপরে গিয়ে বিষয়টি ৫ম তলায় অবস্থানরত ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনাকে জানায়। লুনা বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে বনানী থানার ওসি ও গণমাধ্যম কর্মীদের জানান। মুহূর্তেই সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে টের পেয়ে বাইরে অবস্থানরত ডিবি পুলিশের টিম ধীরে ধীরে সরে যায়। গত ১৭ই এপ্রিল ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার পর একমাস না যেতেই এ ঘটনায় পুরো পরিবার চরম আতঙ্কের মধ্যে পড়ে যায়। পরে ইলিয়াস আলীর স্ত্রী উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, তিনি এ ঘটনায় হতচকিত। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। দারোয়ানের কাছ থেকে ঘটনা শুনেই তিনি বনানী থানার ওসিকে ফোন করে বিষয়টি জানতে চাইলে তাকে বলা হয়, তারা ডিবি টহল টিম। এত রাতে তল্লাশি কেন- এমন প্রশ্নে ওসি বলেন, হরতালকে কেন্দ্র করেই বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এটা হয়তো তারই অংশ। পরে সাংবাদিকরা বিষয়টির খোঁজ নিতে বনানী থানায় গেলে থানার ওসি মামুন অর রশিদ তখন থানায় ছিলেন না। তিনি মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান, এএসপি শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে অন্য একটি মামলার আসামীকে খুঁজতে বনানীর ন্যামভবন এলাকায় গিয়েছিল ডিবির দু’টি টিম। তারই একটি টিম ভুলবশত: ইলিয়াস আলীর বাসায় গিয়েছিল। পরে অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ডিবির একটি টিম ওদিকে দায়িত্ব পালনে গিয়েছিল। তারা কেন গিয়েছিল সেটা তিনি জানেন না। ওদিকে রাতে ডিবির অপর একটি টিম খালেদার গুলশান কার্যালয়ে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল নানা সূত্রে এমন খবর জানা গেছে।