বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন,সরকার দেশে অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। বিরোধীদলের নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে বিএনপিকে ধ্বংস করার কূটকৌশল চালাচ্ছে। আমরা এসব কার্যক্রমের মোকাবেলা করবো রাজপথে। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে চিকিৎসক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন,সরকার জনসমর্থন হারিয়ে পুলিশি শক্তির আশ্রয়ে বিরোধীদলকে দমন করছে। যখনই কোন সরকার স্বৈরাচার হয়ে যায় তখন তারা এমন পথেই অগ্রসর হয়। জনগণকে তারা শত্রু হিসেবে চিহ্ণিত করে থাকে।
‘বিরোধীদলকে কিভাবে সঠিক পথে রাখা যায় তা আমাদের জানা’প্রধান মন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে মওদুদ বলেন,আপনার বাবার সাড়ে ৩ বছরের শাসনামলে যেমন বিরোধীদল ও ক্ষমতকে গ্রহণ করতে পারেনি। আপনিও একই পথে হাটছেন। আমরাও জানি কিভাবে আন্দোলন করে দাবি আদায় করে নিতে হয়।
ডক্টরস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ড্যাবের সভাপতি এ কে এম আজিজুল হকের সভাপতিত্বে চিকিৎসক সমাবেশে আরো বক্তব্য রাকেন বিরোধীদলীয় চীফ হুইপ জয়নুল আবেদীন ফারুক, ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক আব্দুল আওয়াল ঠাকুর,জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক মহাসচিব এড.সানাউল্লাহ মিয়া,ইসমাঈল হোসেন বেঙ্গল প্রমুখ।
অন্যদিকে আবু নাসের রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে ‘সমমনা গণতান্ত্রিক সামাজিক সংগঠনসমূহ’ আয়োজিত এক মানববন্ধনে মওদুদ বলেন,গণতন্ত্র মানে সমঝোতা,গণতন্ত্র মানে আলোচনা। কিন্তু আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই বিরোধী দলের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করছে। তারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়নি।
তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা সম্পর্কে মওদুদ আহমেদ বলেন,এখনো সময় আছে আলোচনায় বসুন। বিএনপি আলোচনার জন্য প্রস্তুত। তবে এর আগে সরকারকে নীতিগতভাবে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়কের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিতে হবে।
তিনি বলেন,তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুর্বহালের দাবি শুধু বিএনপি বা ১৮ দলের নয়, এ দাবি আজ জনগণের। তাই বিরোধী দলের আন্দোলন গণআন্দালনে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ ভালো করে জানে তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া এ দেশে নির্বাচন হবে না।