ঢাকা : বিরোধী জোটের ৩৩নেতাকে একসঙ্গে আটক ও কারাগারে পাঠানোর মতো ঘটনা অতীতে আর ঘটেনি-বিএনপি নেতাদের এমন দাবি নাকচ করে দিয়েছেন ক্ষমতাসীন জোট নেত্রী শেখ হাসিনা।
তার দাবী ‘৭৫ সালের পর জিয়াউর রহমানের সময়ে আওয়ামী লীগের সব নেতাকে জেলে ঢুকানো হয়েছিল।
জেলখানার মধ্যেই জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। এরশাদের সময় ৮৩ সালে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীসহ ৪০ জনকে একসঙ্গে বন্দি করা হয়। নেতাদের চোখ বেধে অত্যাচার নির্যাতন চালানো হয়। যাদের অনেকে পরে বেঁচে থাকতে পারেননি।
প্রধানমন্ত্রী আজ গণভবনে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমুল নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলের একজন নেতার নাম উল্লেখ না করে বলেন, বিরোধী দলের একজন যিনি দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত। প্রেসিডেন্টের করুনায় ক্ষমাপ্রাপ্ত।
যে যখন ক্ষমতায় থাকে সেখানেই যান। যার নাম নিতে আমার রুচিতে বাধে। তিনি বলেছেন, ‘১৮ দলের মতো এতোসংখ্যক নেতাকর্মী নাকি অতীতে গ্রেপ্তার হয়নি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে এরশাদ, রওশন এরশাদসহ জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জেলে ঢুকিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, এখন যারা তরুণ সাংবাদিক তাদের অনেকে হয়তো সেইসব ঘটনা জানেন না।
আপনাদের অনুরোধ করবো আপনারা যাতে সেই সময়ের তালিকাগুলো দেখেন। দেখবেন কতোজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেত্রী আন্দোলন করছেন যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাবার জন্য। উনার আন্দোলন নিজের এবং পুত্রদের বিচার বন্ধ করতে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির গত মেয়াদের শেষে ভোট চুরি করে নির্বাচনের চেষ্টা করেছিল বলেই ১/১১ এসেছিল।