বার্তা ৭১ ডটকমঃ জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, রাজনীতির মাঠে এখন আর রাজনীতিবিদরা নেই। রাজনীতির মাঠে খেলছে আমলারা, রাজনীতিবিদরা লাইনে বসে খেলা দেখছেন।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী দেশের মালিক হচ্ছেন জনগণ। তাদের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই দেশ পরিচালনা করার কথা। কিন্তু কাজ কর্মে এমপি সাহেবদের খরবই নেই, আর সচিব সাহেবরা সব কাজ করেন মন্ত্রী মহোদয়রা শুধু জানতে চান।
রবিবার জাপার বনানী কার্যালয়ে পার্টির খুলনা বিভাগ আয়োজিত জাপার ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পোস্টার ও ক্যালেন্ডার বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, জনপ্রতিনিধিরাই জনগণের দুঃখ-কষ্ট সবচেয়ে ভালো বোঝেন। তারাই জনগণের বেশি উপকার করতে পারেন। আবার আমলারা হচ্ছে রোবটের মত, তারা একটি গন্ডির ভেতরে কাজ করতে অভ্যস্ত। আমলারা রাজনীতিবিদদের মত সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট বোঝেনা।
তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মূল্য দিন। জনপ্রতিনিধিরা সুযোগ পেলে দেশের মানুষের অনেক বেশি উপকার হবে। জনপ্রতিনিধিদের উপেক্ষা করে আমলাদের দিয়ে দেশ পরিচালনা কখনোই মঙ্গলজনক হবেনা।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, এরশাদ সাধারণ মানুষের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দিয়ে দেশ পরিচালনা করেছেন। তখন উপজেলা পরিষদ ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের অধীনে আমলারা কাজ করেছেন। জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনায় কাজ করেছেন আমলারা। কিন্তু এখন উল্টে গেছে সবকিছু। উপজেলা চেয়ারম্যান হচ্ছেন “চেয়ারম্যান”মানে চেয়ারে বসে থাকবেন। আর উপজেলা পরিষদ চালাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কথা ইউএনও সাহেব শুনলে ভালো, না শুনলে কিছুই করার নেই। জনপ্রতিনিধিরা যদি দেশ পরিচালনা করতে না পারে তা সংবিধান পরিপন্থী।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ দুটি রাজনৈতিক দলের দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে চায়। জনসাধারণ চায় জাতীয় পার্টির রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পাক। কারন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শাসনামলের চেয়ে জাতীয় পার্টির শাসনামলে তুলনামুলকভাবে অনেক বেশি সুশাসন ছিলো। আর এ কারনেই জাতীয় পার্টি দেশের সব চেয়ে বেশি সম্ভাবনাময় রাজনৈতিক শক্তি।
জাতীয় পার্টির খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব সাহিদুর রহমান টেপার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায়, বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তার মিয়া, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরিফা কাদের, মাহমুদুর রহমান মাহমুদ, নাজনিন সুলতানা, যুগ্ম মহাসচিব শেখ মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, হুমায়ুন খান, অ্যাডভোকেট জহিরুল হক জহির, সাইফুদ্দিন খালেদ, সম্পাদমন্ডলীর সদস্য সুলতান মাহমুদ, এম.এ. রাজ্জাক খান, সুমন আশরাফ, এস.এম. আল জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নেতা শেখ হুমায়ুন কবির শাওন, জিয়াউর রহমান বিপুল, অ্যাডভোকেট এমদাদ, বিষ্ণুপদ রায়।
খুলনা বিভাগের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- নাফিজ আহমেদ খান টিটু, রাশেদ মাজমাদার, হাজী মোশাররফ হোসেন, মোঃ সাইফুল ইসলাম সেলিম, কামরুজ্জামান টিটু, ইসহাক মোল্লা, মুশফিকুর রহমান মুশফিকসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।