বার্তা ৭১ ডটকমঃ রাজধানীর মিরপুর এ বিগত মার্চ মাসের ২৫ তারিখ বিকাল বেলা ৪ ঘটিকায় (আনুঃ) এক গৃহকর্মী কে নির্যাতন করে ছাঁদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যার চেষ্টা করার ঘটনা ঘটেছে। এই নিয়ে পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে ঐ এলাকায় সবখানে এক নাটকীয়তার জন্ম নিয়েছে। ঘটনা ঘটার পর দিন থেকে গৃহকর্তী মৌসুমি আক্তার উর্মি নিজেই স্ব-ইচ্ছাপ্রনদিত হয়ে ভিকটিমের বাবা কে বাদী করে ঢাকার সি এম এম আদালত এ তাঁর শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলায় তিনি বর্ননা করেছিলেন তাঁর দেবর জহিরুল ইসলাম ছাঁদে তাঁর কয়েকজন বন্ধু নিয়ে তাদের বাসার কাজের মেয়েটির হাত পা বেঁধে গন ধর্ষণ করেন পরে ঘটনাটি তাঁর ভাবি দেখে ফেলার পর তারা ছাঁদ থেকে মেয়েটিকে ফেলে দিয়ে ঘটনাটি চাপা দেয়ার চেষ্টা করলে বিবেক জাগ্রত হয়ে একরকম মানবিকতার খাতিরেই নাকি ঐ গৃহকর্তী মামলা দায়ের করেছিলেন।
পরবর্তীতে, মেডিক্যাল রিপোর্ট এ ধর্ষণের ঘটনা প্রমানিত না হওয়ায় আদালত মামলাটি খারিজ করেন।
ঘটনার ঠিক ১২ দিন পর মেয়েটির হাসপাতালে জ্ঞ্যান ফিরলে পুলিশের কাছে দেয়া জবানবন্দিতে মেয়েটি তাঁর গৃহকর্তীর নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন। তারপর পুলিশ বাদী হয়ে সেই গৃহকর্তীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এর অধীনের মামলা দায়ের করেন।
তাঁর পর থেকে গৃহকর্তী পলাতক অবস্থায় রয়েছেন। জানা গেছে ঐ গৃহকর্তী আইন পেশায় পড়াশোনা করেছিলেন।
ঘটনার পর থেকে তাঁর স্বামীর সাথে এই বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি জানান, আইন সবার জন্য সমান, এমন ঘৃণিত কাজ যদি আমার স্ত্রী করে থাকে তাহলে অবশ্যই তাঁর শাস্তি হওয়া উচিৎ।
ডিএমপি মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘যেহেতু ভিকটিম জবানবন্দি দিয়েছে তাই আমরা আসামী কে খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করব। আমরা দ্রুত চার্জশীট দেওয়ার চেষ্টা করবো। যারা গৃহকর্তী তারা তো ক্ষমতাধর, তারা বাসার মালিক। আর যে লোকটাকে মারধর করা হয় সে তো গরিব মানুষ। সে কিন্তু তার বিচারটা পায় না। আমাদের নিজস্ব নারী নির্যাতন সেল আছে, ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টার আছে। এভাবেই একদিন নারী নির্যাতন, শিশু নির্যাতন এবং কাজের বুয়াদের যে নির্যাতন সেটা অনেকাংশে কমে যাবে।’
এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত নির্মম নির্যাতনের শিকার মেয়েটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সভ্যতার এমন দিনেও এরকম সংবাদ আমাদের জন্য সত্যিই দুঃখজনক।
ছিঃ ছিঃ এমন জঘন্য কাজের শাস্তি হওয়া উচিৎ।
আমরা কি ‘আইএম এ জাহিলিয়া’ যুগে চলে যাচ্ছি। দ্রুত বিচার হওয়া উচিৎ।