বার্তা ৭১ ডটকমঃ তাবলীগ জামা’আতের নিকট আক্বীদাহর ক্ষেত্রে স্বচ্ছ ধারণা নেই । সুতরাং তাদের সাথে বের হওয়া উচিত নয় । তাবলীগ জামা’আত আল্লাহর কুরআন এবং রসূলের হাদীসের তরীকার উপর প্রতিষ্ঠিত নয় এবং আমাদের সলফে সালিহীনদের পন্থার উপর নয় । এই অবস্থায় তাদের সাথে বের হওয়া জায়িয হবে না । দা’ওয়াতের কাজে বের হবেন আলিম বা বিদ্বান ব্যক্তি । আর এরা যারা বের হচ্ছে তাদের উপর অবশ্য করণীয় হল নিজের দেশে জ্ঞান শিক্ষা করা, মাসজিদে মাসজিদে জ্ঞানার্জনের ব্যবস্থা করা, যারা দা’ওয়াতের কাজ করবে তারা যেন আলিম তৈরী হয় । এ অবস্থায় তালিবে ইলমদের উচিত যেন এদেরকে তাদের দেশেই কুরআন-হাদীস শিক্ষার জন্য আহ্বান জানায় । তাবলীগ এর নামে যারা মানুষকে আল্লাহর পথে দা’ওয়াত দেয় তারা কুরআন ও সুন্নাহকে তাদের মূলনীতি হিসাবে গণ্য করে না । বরং তারা এই দা’ওয়াতকে বিভক্ত করে ফেলেছে । এরা যদিও মুখে বলে যে, তাদের দা’ওয়াত কুরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিক তা নিছক মুখের কথা, এদের কোন একক আক্বীদা বিশ্বাস নেই যা তাদেরকে একত্রিত করতে পারে । এজন্যই দেখা যায়- এরা হল সূফী ও মাতুরিদী, আশায়িরীর আর এরা তো কোন মাযহাবেই নেই । আর এর কারণ হল তাদের আক্বীদাহ-বিশ্বাস জটপাকানো । এদের নিকট স্বচ্ছ জ্ঞানের অভাব । এদের জামা’আত প্রতিষ্ঠার প্রায় অর্ধশত বছর পার হয়ে গেল কিন্তু এত লম্বা সময়ের পরও তাদের মাঝে কোন আলিম তৈরী হলো না । আমরা এজন্যই বলি আগে জ্ঞানার্জন কর, তারপর একত্রিত হও, যেন একত্রিত হওয়া যায় নির্দিষ্ট ভিত্তির উপর, যাতে কোন মতভেদ থাকবে না । তাবলীগ জামা’আত বর্তমান সূফী মতবাদের ধারক বাহক জামা’আত । এরা চরিত্র সংশোধনের ডাক দেয় কিন্তু আক্বীদা-বিশ্বাসের সংস্কার ও সংশোধনের ডাক দেয় না । এ ব্যাপারে তারা সম্পূর্ণ নিশ্চূপ । কেননা তাদের ধারণা মতে এর দ্বারা বিভক্তি সৃষ্টি হবে । আমার বাসার বাড়িওয়ালা তাবলীগের আসর বসাত তার বাড়ীতেও, সেই সুবাদে বেশ কিছু মুরব্বীদের সাথে যোগাযোগ হয় । তাদের সাথে কথা বলে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে, তারা ওয়াসীলা, উদ্ধারকারী (ইস্তিগাসা) এবং এ ধরনের অনেক ধারণাই সমর্থন করে । প্রত্যেক তাবলীগীকে এই চার তরীকার ভিত্তিতে বাই’আত গ্রহণ করতে হবে । কেউ হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন যে এদের প্রচেষ্টায় অনেক মানুষই আল্লাহর পথে ফিরে এসেছে । বরং এদের সাথে বের হবার জন্য কেউ কেউ ইসলাম গ্রহণ করেছে তাদের কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করার জন্য কি এটা যথেষ্ট নয় ? এ ব্যাপারে আমার বক্তব্য হল- সূফীদের কাছে থেকে আমরা অনেক ঘটনাই জানি । উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, যদি শাইখের আক্বীদাহ ফাসিদ হয়, হাদীস জানে না বরং লোকজনের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করে এতদ্বসত্ত্বেও অনেক ফাসিক লোক তার হাতে তাওবাহ করে । যে দলই ভাল বা কল্যাণের দিকে ডাকবে অবশ্যই তার অনুসারী পাওয়া যাবে । কিন্তু আমরা দৃষ্টি দিবো যে, সে কিসের দিকে আহ্বান করছে? সে কি কুরআন হাদীস এবং সালফে সালিহীনের আক্বীদার দিকে ডাকছে? আল্লাহর জন্যে বের হওয়া বলতে তারা যে ধরণের বের হওয়াকে বুঝে থাকে আসলে তা বিভ্রান্তিকর । আল্লাহর জন্যে বের হওয়া বা আল্লাহর রাস্তা বলতে বোঝায় জিহাদের জন্যে বের হওয়াকে । তারা বের হওয়ার জন্যে যেভাবে আহবান করে থাকে তা একটি বিদ’আত যা সালাফদের থেকে বর্ণিত নেই, অর্থাৎ সালাফদের কেউ এভাবে বের হওয়ার জন্যে আহবান করেন নি । আল্লাহর দিকে মানুষকে ডাকার জন্যে বের হওয়াকে কয়েকটি দিনের মাঝে সীমাবদ্ধ করা যায় না, বরং একজন মানুষ তার সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে লোকদের আল্লাহর দিকে আহবান করবে, তার এই সামর্থ্যকে সে কোন নির্দিষ্ট কিছু দিন যেমন চল্লিশ দিন বা এর কিছু বেশি বা কম অথবা কোন দলের মাঝে সীমাবদ্ধ করবে না । অনুরূপভাবে, একজন দাওয়তি ব্যাক্তির অবশ্যই ইলম থাকতে হবে । একজন লোকের অনুমতি নেই কিন্তু সে মানুষকে আল্লাহর দিকে আহবান করবে অথচ যে একজন অজ্ঞ মূর্খ বা জাহেল । আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন, “(হে নবী,এদের) তুমি বলে দাও, এ হচ্ছে আমার পথ; আমি মানুষদের আল্লাহর দিকে আহবান করি; আমি ও আমার অনুসারীরা পুর্নাঙ্গ সচেতনতার সাথেই আহবান জানাই; আল্লাহ তায়ালা মহান, পবিত্র এবং আমি কখনো মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই” । [সূরা ইউসুফ ১০৮] দ্রষ্টব্য; “সচেতনতার সাথেই আহবান জানাই”, এ আহবান হতে হবে ইলমের সাথে কারণ একজন আহবানকারী যেদিকে লোকদেরকে আহবান করছে তা সম্পর্কে তাকে অবশ্যই জানতে হবে । তাকে জানতে হবে কোনটি ফরয, মুস্তাহাব, হারাম আর কোনটি মাকরুহ । তাকে জানতে হবে শিরক সম্পর্কে; পাপকার্য, কুফর, অনৈতিকতা, অবাধ্যতা সম্পর্কে । অন্যায়ের এবং মন্দ কাজের কিভাবে মোকাবিলা করতে হয় সে সম্পর্কেও তাকে অবশ্যই জানতে হবে । এ ধরণের বের হওয়া (চল্লিশ দিন কিংবা চার মাস) মানুষকে ইলম অর্জন থেকে বিঘ্নিত করে এবং এটি একটি ভুল, কারণ ইলম অর্জন করা একটি অত্যাবশ্যক বা ফরয কাজ, আর এটা কেবলমাত্র শিক্ষার মাধ্যমেই অর্জন করা যায়, অনুপ্রেরণার মাধ্যমে নয় । এটা হল এক প্রকার ভুল পথে চালিত সুফী মিথ (myth), কেননা ইলম ছাড়া আমল হল ভুল পথে চলা বা পথভ্রষ্টতা আর শিক্ষা অর্জনের প্রক্রিয়া ছাড়া ইলম অর্জনের আশা করা একটি বিভ্রম ব্যতীত আর কিছু নয় । নাম না প্রকাশ করা কিছু মানুষের কাছ থেকে জানা যায়, তারা তাবলীগ জামায়াত এর নামে সমবেত হবার আহবান করে বিভিন্ন ঘরোয়া মিটিং এ বসে, যেখানে মহিলা এবং পুরুষদের জন্য আলাদা ভাবে জ্ঞ্যান বিতরন করার ব্যবস্থা করার নামে বিভিন্ন আয়াত পাঠ করার মধ্য দিয়ে ধর্ম ভীরু মানুষদের কে জিহাদ এ উদ্ভুদ্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যান। যাদের মধ্যে চেতনার প্রকাশ বেশী পাওয়া যায় তাদের কে দিয়ে বিভিন্ন জঙ্গি হামলার মত নৃশংস কাজ করার পরামর্শ দেয় এবং তাদের কে এই বলে অনুপ্রানিত করা হয় যে, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করলে তারা বিনা হিসেবে বেহেস্তি হবে, যদিও প্রকৃত জিহাদ কি সেটা তাদের জ্ঞ্যানের পরিধির বাহীরে। তাই সময় থাকতে সবাই এইসব ভণ্ডদের কাছ থেকে সাবধান হওয়া উচিৎ।
লেখকঃ মোঃ রাসেল মজুমদার, সাংবাদিক ও কলামিস্ট
তোর বিচার আল্লাহ করবে একদিন বুঝবি হারামজাদা।
তাবলীগ-জামাত নিয়ে আর একটি কথা বললে তোর মস্তক আলাদা করে দিব নাস্তিকের বাচ্চা।
কিছু বলার নাই শুধু একটা কথাই বলবোঃ মৃত্যু এবং জাহান্নাম চির সত্য, আপসোস তোর জন্য…
একটা একটা নাস্তিক ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর।
তুই একটা জারজ।
নারায়ে তাকবীর আল্লাহু আকবর, তুই আর মুসলমান নাই, এখন থেকে তোর পরিচয় তুই নাস্তিক আর একজন অমুসলিম হয়ে তুই আমাদের মুসলমান কে যেই উক্তি করেছিস (নাউজুবিল্লাহ), তোকে যেখানে পাব সেখানেই শেষ করে দিব।