গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের যে ধারায় টাঙ্গাইলের সাংসদ আবুল কাশেমের প্রার্থিতা বাতিল এবং বিএনপির মাহমুদুল হাসানকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে- সেই ধারা কেন সংবিধান বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।
টাঙ্গাইল-৫ আসনে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য আবুল কাশেমের প্রার্থিতা বাতিল করে বিএনপির মাহমুদুল হাসানকে বিজয়ী ঘোষণার বিরুদ্ধে ২৫ ভোটারের করা এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও জাহাঙ্গীর হোসেনের বেঞ্চ মঙ্গলবার এই রুল জারি করে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ এর ৫১(২)(বি) কেন সংবিধান বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- ১২ দিনের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব এবং মাহমুদুল হাসানকে তা জানাতে বলেছে আদালত।
ভোটারদের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। তাকে সহায়তা করেন মোহাম্মদ বাকির উদ্দিন ভূঁইয়া। আর সরকার পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আলতাফ হোসেন ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল ইয়াদিয়া জামান।
তিনি বলেন, টাঙ্গাইল-৫ আসনে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য আবুল কাশেমের প্রার্থিতা বাতিল এবং বিএনপির মাহমুদুল হাসানকে বিজয়ী ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন কেন সংবিধান বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- আদালত তাও জানতে চেয়েছে।
কাশেমকে ঋণখেলাপি দাবি করে নির্বাচনের পর ২০০৯ সালে মাহমুদুল হাইকোর্টে আবেদন করেন। এতে বলা হয়, জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাশেমের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করলেও সোনালী ব্যাংকে তার ১৫ কোটি ৪৪ লাখ ২৫ হাজার ৪৩৭ টাকা খেলাপি ঋণ রয়েছে। ময়মনসিংহ টেলিফোন এক্সচেঞ্জে কাশেমের নামে ৩২ হাজার ১১০ টাকা ফোন বিল বকেয়া রয়েছে।
২০০৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল সাংসদ আবুল কাশেমের প্রার্থিতা বাতিল করে মাহমুদুলকে বিজয়ী ঘোষণার জন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয়।
কাশেম এর বিরুদ্ধে আপিল করলে গত ১৪ ফেব্র“য়ারি তা খারিজ করে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ। আদেশের ৭ দিনের মধ্যে মাহমুদুলকে বিজয়ী ঘোষণা করতে বলা হয়।
গত ২৯ এপ্রিল ইসি আপিল বিভাগের আদেশের কপি হাতে পাওয়ার পর নির্বাচন কমিশন গত ৭ মে গেজেট প্রকাশ করে সংসদ সচিবালয়ে পাঠায়।
তবে আবুল কাশেম আপিল বিভাগের আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য একটি আবেদন (রিভিউ পিটিশন) করায় মাহমুদুলকে শপথ না পড়িয়ে ওই আবেদনের আদেশ পর্যন্ত অপেক্ষা করার কথা বলেন স্পিকার।