বার্তা৭১ ডটকমঃ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেয়ার দ্বিতীয় দিনে ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালে আরো ৫৪২ জনকে টিকা দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে দু’জন প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে টিকার প্রয়োগ শুরু হয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে টিকা নিয়েছেন ১৯৮ জন। এর ভেতর ভিআইপিদের মধ্যে নেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, তথ্য সচিব খাজা মিয়া। এছাড়াও ডাক্তারদের মধ্যে নেন ১৪২ জন, নার্স ৪, অন্যান্য ৪৮।
অন্যদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টিকা নিয়েছেন ১২০ জন। সেখানে ভিআইপিদের মধ্যে টিকা নেন সংস্কৃতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। ডাক্তার চারজন, নার্স ৭, অন্যান্য ৪৮।
মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টিকা দেয়া হয়েছে ৬৫ জনকে। তারা হলেন; ডাক্তার ১২ জন, নার্স ৫ জন, অন্যান্য ৪৮ জন।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকা নিয়েছেন ১০০ জন। তার মধ্যে পুরুষ হলেন ৫৯ জন, নারী ৪১ জন। ডাক্তার ৫০, নার্স ১৩ অন্যান্য ৩৭।
কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে টিকা নিয়েছেন ৫৮ জন। এরা হলেন ডাক্তার ৩৮, নার্স ৩, অন্যান্য ১৭।
এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে টিকা দেয়া হচ্ছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ মানুষ টিকা নিচ্ছেন। যে পরিবেশ, মনে হলো যেন ঈদের ভাব। যেভাবে ঈদ হয়, সেরকম আনন্দমুখর পরিবেশে টিকা নেওয়া হচ্ছে। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান হয়েছে।
এখন পর্যন্ত যারা টিকা নিয়েছেন, তারা সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন এবং কারও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা শোনেননি বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এর আগে গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন এবং প্রথম পাঁচজনকে টিকা দেয়া হয়। পরে সব মিলিয়ে মোট ২৬ জনকে টিকা দেয়া হয়, যাদের মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
বাংলাদেশে দেয়া হচ্ছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা, যা ‘নিরাপদ এবং অধিকাংশের ক্ষেত্রে কার্যকর সুরক্ষা দিতে পারে’ বলে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গেছে। আট সপ্তাহের ব্যবধানে এ টিকার দুটি ডোজ নিতে হবে সবাইকে।
বাংলাদেশে যেহেতু এ টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়নি, তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী প্রথম দফায় ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালে নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যক্তির উপর এ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে তাদের পর্যবেক্ষণ করা হবে।
সব ঠিক থাকলে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন।