বিনিয়োগ সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশে আসা সাহারা ইন্ডিয়া পরিবারের কর্ণধার সুব্রত রায় সাহারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছেন।
ভারতের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপের চেয়ারম্যান বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা স্ত্রী স্বপ্না রায়কে নিয়ে গণভবনে যান। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তিনি বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান অবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
সাহারা গ্রুপ আবাসন প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। ঢাকার আশেপাশে কয়েকটি উপশহর গড়ে তোলার জন্য বুধবার রাজউকের সঙ্গে তারা একটি সমঝোতা স্মারকও সই করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেসসচিব বিজন লালদেব সাংবাদিকদের জানান, পর্যটন খাতে ও আশেপাশে কয়েকটি উপশহর গড়ে তোলায় ভালো সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন সুব্রত রায়।
“বিশ্বমন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সূচকগুলো ভালো অবস্থানে রয়েছে, ক্রেডিট রেটিংয়েও বাংলাদেশের অবস্থান স্থিতিশীল,” বলেন সচিব।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত সুব্রত রায় তার এই সফরে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে যাওয়ার কথাও জানান।
খাদ্য ও শিল্প উৎপাদনে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা গ্রোথ রেট ৬ এর ওপরে ধরে রাখতে পেরেছি। তথ্য প্রযুক্তিগতভাবে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে।”
অর্থনৈতিকভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ সাহারা চেয়ারম্যানের কাছে তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাহারা চেয়ারম্যানের বৈঠকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমও ছিলেন।
২০ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে মঙ্গলবার ঢাকায় আসেন সুব্রত রায়। বাংলাদেশে এটাই তার প্রথম সফর। এই ভারতীয়ের আদি বাড়ি বর্তমান মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।
সুব্রত রায় ১৯৭৮ সালে সাহারা ইন্ডিয়া পরিবার প্রতিষ্ঠা করেন। মহারাষ্ট্রে অ্যাম্বি ভ্যালি নামের আবাসন প্রকল্প গড়ে তুলে সুনাম অর্জন করে সাহারা।
আবাসন প্রকল্প দিয়ে শুরু হলেও এখন অর্থনৈতিক সেবা, জীবন বীমা, মিউচুয়াল ফান্ড, আবাসিক খাতে অর্থ যোগান, অবকাঠামো, সংবাদপত্র ও টেলিভিশন, বিনোদন, চলচ্চিত্র প্রযোজনা, স্বাস্থ্যসেবা, পণ্য উৎপাদন, ক্রীড়া এবং তথ্য প্রযুক্তি খাতে সাহারার ব্যবসা ছড়িয়ে আছে।
আইপিএলের দল পুনে ওয়ারিয়র্সের মালিক সাহারা পরিবার, যে দলে বাংলাদেশের তামিম ইকবালও সদস্য।
টাইম ম্যাগাজিনের বিচারে, ভারতীয় রেলওয়ের পর জনশক্তির দিক দিয়ে সাহারা গ্রুপ দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান।