বার্তা৭১ ডটকমঃ এক সাংবাদিকের মৃত্যুর রেশ কাটতে না কাটতেই নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে মঙ্গলবার রাতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আরো একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অর্ধ শতাধিক। গুরুতর আহত ছাত্রলীগ নেতা জাকির হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হয়েছে। স্থানীয় কয়েকটি হাসপাতালেও আহতদের অনেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের স্থগিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমানের (বাদল) সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয় বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন।
নিহত ব্যক্তির নাম আলাউদ্দিন (৩২)। তিনি উপজেলার চর ফকিরা ইউনিয়নের চর কালি গ্রামের মমিনুল হকের ছেলে। স্থানীয় সূত্রগুলো দাবি করছে, নিহত আলাউদ্দিন মিজানুর রহমানের অনুসারী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সংঘর্ষের সময় গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। সংঘর্ষের জন্য উভয় পক্ষই প্রতিপক্ষকে দায়ী করেছে। এই দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরের মৃত্যুর তিন সপ্তাহ পার না হতেই আবারো আরেকজন নিহত হলেন।
কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমানের অনুসারীদের মধ্যে গতকাল বিকেলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে রাতে আবার দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। প্রথম সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে বসুরহাট পৌরসভার রূপালী চত্বর এলাকায়। এরপর এই সংঘর্ষের জেরে রাতে আবার সংঘর্ষে জড়ায় উভয় পক্ষ। এসব সংঘর্ষে পুলিশসহ প্রায় অর্ধশত আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্র বলেছে।
আহতদের মধ্যে কাদের মির্জার অনুসারী উপজেলা ছাত্রলীগের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনও রয়েছে। গুলিতে গুরুতর আহত জাকির হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে।