বার্তা৭১ ডটকমঃ দেশে সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা। শুক্রবার (২৬ মার্চ) দুপুর ২টার পর তারা হোটেল সোনারগাঁওয়ের লবিতে মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তারা।
জোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমুর নেতৃত্বে দলটিতে ছিলেন বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাসদ একাংশের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার, জাসদের আরেকটি অংশের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীসহ অন্যান্য শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
এরপর জিএম কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টিও নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় দুইদিনের সফরে ঢাকায় আসেন ভারতের মোদি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই তার এই সফর।
সকালে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মোদিকে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা এবং গার্ড অব অনার দেয়া হয়। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে যান।
বিকেলে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নরেন্দ্র মোদি।
সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যৌথভাবে ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু জাদুঘর’ উদ্বোধন করার কথা রয়েছে মোদির। তার সম্মানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া রাষ্ট্রীয় ভোজসভায়ও অংশ নেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি ও কাশিয়ানী উপজেলার মতুয়া সম্প্রদায়ের তীর্থস্থান শ্রীধাম ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড়ি পরিদর্শন করবেন। একই দিন সাতক্ষীরায় হিন্দু মন্দিরও পরিদর্শন করবেন মোদি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে বাংলাদেশের সঙ্গে অনেকগুলো চুক্তি সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে বিনিয়োগ, বাণিজ্য এবং পারস্পরিক সহযোগিতা অন্যতম। এছাড়া তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারত দ্রুত একটি সিদ্ধান্তে আসবে বলেও জানা গেছে।