বার্তা৭১ ডটকমঃ সাম্প্রদায়িক অপশক্তি মোকাবিলায় প্রয়োজনে শেখ হাসিনার ডাকে নতুন লড়াই করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান।
রবিবার (২৮ মার্চ) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমরা যখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছি। বাঙালি জাতি যখন ৭১ এর চেতনা নিয়ে নতুন করে ঘুরে দাঁড়াবার শপথে বলিয়ান। সেই সময় ৭১ এর পরাজিত শকুনেরা নতুন করে আমাদের মানচিত্রকে খামচে ধরার পরিকল্পনা করছে, অপচেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ৭১ এর পরাজিত শকুনেরা জানে না যে জাতির সন্তানেরা জীবনকে বাজি রেখে বঙ্গবন্ধুর ডাকে যুদ্ধ করতে পারে, আর আজকে তারই কন্যা শেখ হাসিনার ডাকে প্রয়োজন হলে আর একবার নতুন করে লড়াই করবে, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি জায়গা বাংলার মাটিতে হবে না।
আব্দুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন-সংগ্রামের বাঁকেবাঁকে তার রাজনৈতিক দর্শন, আত্মবিশ্বাস, সবকিছু মিলিয়ে তার ভাবনা-চেতনায় বাঙালি জাতিকে স্বাধীন করার স্বপ্ন পাকিস্তান ও ভারত বিভক্তির পরপরই দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধু আন্দোলন-সংগ্রামের পাশাপাশি জীবনের ঝুঁকি নিয়েছে বহুবার। তিনি মৃত্যুকে তুচ্ছ করে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে বলেছিলেন এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, সেই থেকে বাঙালি জাতি স্বাধীনতার সঙ্গে পরিচিত হলো।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে আসার পর ২১ বার তার জীবনের মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েছেন। মৃত্যুকে তিনি পায়ে ভৃত্য বানিয়ে অবিরাম সংগ্রামের ধারাকে অব্যাহত রেখে বাংলার মানুষের ম্যান্ডেডেট নিয়ে টানা তিন-তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। তিনি আজকে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন। তিনি দেশকে বদলে দিয়েছেন অর্থনৈতিক ভাবে। আকজে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বিশ্ব সভায় প্রসংশিত। দুর্যোগ-সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, দিপু মনি, ডা. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এস এম কামাল হোসেন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ মান্নান কচি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ অন্যরা।