বার্তা৭১ ডটকমঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনার সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
বুধবার (৩১ মার্চ) ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।পরিদর্শনকালে স্থানীয় এমপি উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল তার সঙ্গে ছিল।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এখানে ক্ষয়ক্ষতি দেখতে এসেছি। এই ঘটনায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মর্মাহত।
ঘটনাগুলোকে পূর্ব পরিকল্পিত উল্লেখ করে হানিফ বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনার সঙ্গে বিএনপি, জামাতের যে সম্পৃক্ততা ছিল তা প্রমাণিত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগমনে বিরোধীদের উস্কে দিয়েছে বিএনপি। বিএনপি নিজেদের জনপ্রিয়তা হারিয়ে এখন জামায়াতের কাঁধে ভর করেছে।
তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে আসতে না দেয়ার কথা বলে ধর্ম ব্যবসায়ী দলকে উসকে দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত মার্চ মাসের আগে থেকেই বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা তাদের বক্তব্যে উসকে দিয়েছিল যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আসতে দেয়া হবে না। বাধা দেয়া হবে। গতকালও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ২০২১ সালের মধ্যে সরকার পতন হয়ে যাবে। তারা এই যে আশা প্রকাশ করছে, সরকার পতন হয়ে যাবে। কিসের ওপর এবং কোন আশায় তারা এসব বলছে। বিএনপির সাংগঠনিকভাবে এমন তৎপরতা নেই যে সরকারকে অস্থিতিশীল বা বিব্রত করতে পারবে। তারা ভাবছে কেন যে সরকারের পতন হবে।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, তাদের (বিএনপি) নিজেদের এখন কোনো সক্ষমতা নেই। তারা ধর্ম ব্যবসায়ীর দল হেফাজত ও জামায়াত ইসলামের ওপর ভর করেছে। তারা ভর করেছে বলেই আজকে তারা এই ধরনের কথা বলছে।
মাহবুব উল আলম হানিফ আরও বলেন, ‘সেদিন দেখলাম, বিএনপির এক নেত্রী বাসে আগুন দিয়ে সেই ভিডিও তার নেতাকে লন্ডনে পাঠাতে বলেছে। লন্ডন থেকে বসেই এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সারা বিশ্বসহ আমাদের কাছে অহংকার ও গৌরবের। এই সময়ে উন্নয়ন ও অগ্রগতির কারণে বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে আলোচিত। সেই সময়ে পরিকল্পিতভাবে বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজত মিলে এই কাজ করেছে।
তিনি আরো বলেন, হেফাজতের যারা এখানে আছেন, তাদের কাছে তো গানপাউডার থাকার কথা না। এই গানপাউডারের ব্যবহার আমরা ১৯৭১ সালে দেখেছি। আর দেখেছি জামায়াতের বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে। ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে এখন আবার নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে গানপাউডারের ব্যবহার দেখে পরিস্কার হয়ে গেছে, হেফাজতের কাঁধে ভর করেছে জামায়াত এবং বিএনপি। দেশে তো বিএনপির সাংগঠনিকভাবে এমন কোনো তৎপরতা নেই, যেটা সরকারকে অস্থিতিশীল করতে পারে। ওদের নিজেদের সক্ষমতা নেই, ওরা ধর্মব্যবসায়ী দল হেফাজত ও জামায়াতের ওপর ভর করেছে।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমরা বলব যারা এই ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিয়ে প্রমাণ করতে হবে যে, স্বাধীন রাষ্ট্রে এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করা যাবে না। ১৯৭১ সালে যেভাবে ধ্বংস করা হয়েছিল, একইভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধ্বংসাত্মক কার্যাকলাপ করা হয়েছে। এগুলো কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। এবার আশ্বস্ত করছি, এবার আমরা একটা কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেব।