ঢাকা, ২৭ মে: বাংলাদেশে নিবন্ধিত বা রেজির্স্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণ করার দাবি নীতিগতভাবে মেনে নিয়েছে সরকার।
রোববার প্রধানমন্ত্রীর সাথে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতিনিধিদের সাথে এক বৈঠকের পর জানানো হয় যে সরকার নীতিগতভাবে বিষয়টি মেনে নিয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী আফসারুল আমিন বিবিসিকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নীতিগত ভাবে বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণের বিষয়টি মেনে নিয়েছেন। এটা কিভাবে বাস্তবায়ন হবে তা নিয়ে তিনি অর্থমন্ত্রীর সাথে কথা বলবেন।
দেশটিতে এখন প্রায় ২৩ হাজারের মতো বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় এক লাখ এরকম শিক্ষক রয়েছেন এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা না থাকায় তাদের যোগ্যতা নিয়ে সবসময়েই বিতর্ক রয়ে গেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর বেশিরভাগ শিক্ষকের নিম্নতম যোগ্যতা ছাড়া আর কিছুই নেই, অনেকের এমনকি প্রশিক্ষণ গ্রহণের যোগ্যতাও নেই। প্রাথমিক শিক্ষায় সরকারি-বেসরকারি উভয় ধরণের স্কুলে সমতা অবশ্যই থাকা উচিত – কিন্তু শিক্ষকদের মানের এই বিরাট ব্যবধান মানসম্মত শিক্ষার পথে বড় অন্তরায়।
এই প্রেক্ষাপটে প্রাথমিক শিক্ষা খাতের গবেষকরা বলছেন, ঢালাওভাবে চাকরি জাতীয়করণ না করে শুধুমাত্র যাদের প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের ন্যূনতম যোগত্যা আছে জাতীয়করণের ক্ষেত্রে শুধু তাদেরকেই বিবেচনা করা উচিত।
বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষকরা অনেকদিন থেকেই তাদের চাকরি জাতীয়করণের জন্য আন্দোলন করে আসছিলেন।
সবশেষ তারা ঘোষণা করেছিলেন যে এ মাসের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে আলোচনায় না বসলে আগামি ১৬ জুন থেকে সারা দেশে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেবেন তারা। সূত্র: বিবিসি।