বার্তা৭১ ডটকমঃ
শফিকুল আলম ফিরোজঃ
আন্ডারওয়ার্ল্ড কিং খ্যাত শফিকুল আলম ফিরোজ ওরফে কালা ফিরোজ দেশের আন্ডারওয়ার্ল্ডের নেপথ্য কারিগর। তার মূল ব্যবসা হল বিদেশে লোক পাঠানো। মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশেই রয়েছে তার অফিস। রাজধানীর সেভেন স্টার গ্রুপের নেপথ্য গডফাদার এই কালা ফিরোজ। সুইডেন আসলামের শেল্টারদাতা কালা ফিরোজের নির্দেশে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে খুন-খারাবিসহ বড় ধরনের ঘটনাও ঘটে। তবে তিনি থেকে যেতেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ এর নেতৃত্বে রাজধানীতে কলাবাগান ক্লাব আন্তর্জাতিক মানের ক্যাসিনো চালু করেছে। জানা গেছে, স্লট মেশিন জুয়ার জন্য আন্তর্জাতিক মানের বোর্ড, নেপাল থেকে প্রশিক্ষিত নারী-পুরুষদের নিয়ে এসে ক্লাবগুলোতে বাকারা (তাসের খেলা) নামের একটা খেলা হতো, পরে যুক্ত হয় রুলেট (চাকার মতো বোর্ড) এবং আরও কয়েকটি খেলা। এর মাধ্যমে প্রতিদিন কলাবাগান ক্লাবের আয় হচ্ছে প্রায় কোটি টাকা। আর ক্লাবটির নিয়ন্ত্রণ করছেন শফিকুল আলম ফিরোজ। কলাবাগান ক্লাবের আদলে প্রথমে ভিক্টোরিয়া ও পরে একে একে ওয়ান্ডারার্স, ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা, মোহামেডান, আরামবাগে স্লট মেশিন বসে।
ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটঃ
ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট রাজধানীর অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রক হিসেব আলোচিত। সরকারের উপরের মহলের সবার সাথে সখ্যতা থাকার কারনে কেউ তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করার সাহস পাচ্ছে না। রাজনৈতিক পরিচয় ও পৃষ্ঠপোষকতায় অপরাধ জগতের অপ্রতিরোধ্য সম্রাট তিনি। রাজধানীর কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে অফিস খুলে অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করেছেন তিনি। একসময় ‘গডফাদার’দের পক্ষে চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি-তদবির করলেও পরে রাজনৈতিক পর্যায়ে ক্ষমতাধর হয়ে ওঠেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা থেকে মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হন। সামনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।
আন্ডার ওয়াল্ড গডফাদার শফিকুল আলম ফিরোজ এর বিশস্ত সহযোগী হিসেবে তিনি ই ঢাকায় ক্যাসিনো ব্যবসার প্রধান নিয়ন্ত্রক হিসেবে মুখ্য ভুমিকা পালন করছেন। বিশস্ত সূত্র জানিয়েছে, ক্যাসিনো, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজি করে তিনি ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তার দুরনিতির খবর সবার মুখে মুখে থাক্লেও মন্ত্রী, এম পি, সরকারী আমলা সকলেই তার সাথে বিশেষ সখ্যতা তগাকার কারনে তিনি পার পেয়ে যাচ্ছেন। মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন, কাকরাইল, বাড্ডা এলকায় অপরাধ জগতের একক আধিপত্য তৈরি করেন সম্রাট। তিনি ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহমেদের সঙ্গে মিলে অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সম্রাটের নেশা ও ‘পেশা’ জুয়া খেলা। তিনি একজন পেশাদার জুয়াড়ি। প্রতি মাসে অন্তত ১০ দিন সিঙ্গাপুরে যান জুয়া খেলতে। সেখানে টাকার বস্তা নিয়ে যান তিনি।
সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে বড় জুয়ার আস্তানা মেরিনা বে স্যান্ডস ক্যাসিনোতে পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ থেকেও আসেন জুয়াড়িরা। কিন্তু সেখানেও সম্রাট ভিআইপি জুয়াড়ি হিসেবে পরিচিত। প্রথম সারির জুয়াড়ি হওয়ায় সিঙ্গাপুরের চেঙ্গি এয়ারপোর্টে তাকে রিসিভ করার বিশেষ ব্যবস্থাও আছে।
এয়ারপোর্ট থেকে মেরিনা বে স্যান্ডস ক্যাসিনো পর্যন্ত তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বিলাসবহুল গাড়ি ‘লিমুজিন’যোগে। সিঙ্গাপুরে জুয়া খেলতে গেলে সম্রাটের নিয়মিত সঙ্গী হন যুবলীগ দক্ষিণের নেতা আরমানুল হক আরমান, মোমিনুল হক সাঈদ ওরফে সাঈদ কমিশনার, সম্রাটের ভাই বাদল ও জুয়াড়ি খোরশেদ আলম।
সম্রাটের ঘনিষ্ঠ দুই সহচর হলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।
সম্রাটের অফিস রাজধানীর কাকরাইলে রাজমণি সিনেমা হলের উল্টোপাশে। সেখানেও গভীর রাত পর্যন্ত ভিআইপি জুয়া খেলা চলে। প্রতিদিনই ঢাকার একাধিক বড় জুয়াড়িকে সেখানে জুয়া খেলার আমন্ত্রণ জানানো হয়।
কিন্তু সম্রাটের অফিসে খেলার নিয়ম ভিন্ন। সেখান থেকে জিতে আসা যাবে না। কোনো জুয়াড়ি জিতলেও তার টাকা জোরপূর্বক রেখে দেয়া হয়। নিপীড়নমূলক এই জুয়া খেলার পদ্ধতিকে জুয়াড়িরা বলেন ‘চুঙ্গি ফিট’। অনেকে এটাকে ‘অল ইন’ও বলেন। জুয়াজগতে ‘অল ইন’ শব্দটি খুবই পরিচিত।
অল ইন মানে একেবারেই সর্বস্বান্ত হয়ে যাওয়া। সংসারের ঘটিবাটি বিক্রি করে একেবারেই নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার মতোই জুয়াড়িদের অল ইন হওয়া।
গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমঃ
যুবলীগের সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম গণপূর্ত অধিদপ্তর কে কব্জা করে টাকার পাহাড় করেছেন। সূত্র জানিয়েছে, শামীমের প্রতিষ্ঠান জিকেবি অ্যান্ড কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড বর্তমানে এককভাবে গণপূর্তের ১৩টি প্রকল্পের নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে। আবার যৌথভাবে আরও ৪২টি প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত, যা সারা দেশে চলমান অধিদপ্তরের মোট প্রকল্পের ২৮ শতাংশ। সব কটি প্রকল্পের চুক্তিমূল্য ৪ হাজার ৬৪২ কোটি ২০ লাখ টাকা, যার মধ্যে ১ হাজার ৩০১ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।
ঢাকার বাসাবো ও নিকেতনে তার অন্তত পাঁচটি বাড়ি রয়েছে। রাজধানীতে একাধিক ফ্ল্যাট আছে। গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে তার বাড়ি রয়েছে। তার বাসাবো ও নিকেতনের বাড়ি দুটি খুবই অত্যাধুনিক। সেখানে গণপূর্তের যুগ্ম ও অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা তার সঙ্গে সব ধরনের ব্যবসায়িক আলাপ ও লেনদেন করতেন। সেখানে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থাও ছিল। সব সময় চলাফেরা করেন ছয়জন সশস্ত্র দেহরক্ষী নিয়ে। সুত্রে জানা গেছে তার কাছে নয় হাজার মার্কিন ডলার আছে। অস্ত্র ব্যাবসা, মদ ব্যবসা, অস্ত্র চোরাচালান এবং নারী পাচার সকল অনৈতিক কার্যকলাপ সংঘটন করাতেন তিনি।
তুই তোর কোন বাপের বিরুদ্ধে নিউজ করলি, বুঝলি না এখনো, যখন টের পাবি, তখন বাচার সময়ও পাবি না, কারন ততক্ষনে তোর যানাজা হবে খানকির পোলা। রাস্তায় শেয়াল-কুকুরে খাবে তোর লাশ, তোর বংশ নির্বংশ হয়ে যাবে।
বিশ্বাসঘাতক, বেঈমান, যে তোকে রাজনীতি শেখাল, যার সাথে থাকলি, যার খাইলি, তাঁর সাথে বেঈমানি করলি, তোর কর্মের শাস্তি তুই খুব শীঘ্রই পাবি, অপেক্ষা কর…
হিরো হইতে চাস নাকি হারামযাদা, বাটে পাইয়া লই তোরে, তখন সুদে আসলে হিসাব চুকিয়ে নিব।
ভুয়া সংবাদ পরিবেশনের দায়ে এই ভুয়া সাংবাদিক কে আইনের আওতায় এনে তাঁর সাংবাদিকতার আইডি প্রত্যাহার করা হোক।