ঢাকা, ৩১ মে: হরতাল চলাকালে সচিবালয়ে ককটেল বিস্ফোরণ মামলায় মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১৮ দলের ২৯ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ।
সচিবালয়ে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় শাহবাগ থানায় দায়েরকৃত মামলায় শাহবাগ থানা পুলিশ বুধবার সন্ধ্যায় সিএমএম আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করে। এ চার্জশিটে ২৭ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। বিস্ফোরক উপাদান আইন ১৯০৮ এর ৩/৩-ক ও ৬ ধারায় দেয়া চার্জশিট দাখিল করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর তপন চন্দ্র সাহা পিপিএম।
মামলার আসামিরা হলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আব্দুস সালাম, ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিবুন-উন-নবী খান সোহেল, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নীরব, সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বনিভরতা বিষয়ক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব. আ স ম হান্নান শাহ, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খোন্দকার মোশাররফ হোসেন, সংসদ সদস্য ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সৈয়দা আশিফা আশরাফী পাপিয়া এমপি, শাম্মী আক্তার শিফা এমপি, বেগম রেহানা আক্তার রানু এমপি, নিলুফার চৌধুরী মনি এমপি, বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল (অব) অলি আহমেদ, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহবায়ক আ. মতিন, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, যুবদলের সহ-দফতর সম্পাদক কামরুজ্জামান দুলাল, বিএনপির সাবেক নির্বাহী কমিটির সদস্য কামরুজ্জামান রতন, মোরতাজুল করিম বাদরু, রেহানা আক্তার ডলি, মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন ভূঁইয়া।
উল্লেখ্য, গত ২৯ এপ্রিল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা হরতাল চলাকালে সচিবালয়ের ভেতরে ককটেল বিস্ফোরণ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১৮ দলীয় জোট নেতাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর তেজগাঁ ও শাহবাগ থানায় পৃথক দু’টি মামলা করা হয়।