নয়া দিল্লি, ১ মে: আমেরিকার ৭ম নৌবহর চট্টগ্রামে ঘাঁটি গাঁড়ছে বলে দাবি করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া (অনলাইন)। বৃহস্পতিবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি এক্সক্লুসিভ ভিডিও চিত্রে এই দাবি করা হয়। বাংলাদেশে আমেরিকান রণতরীর ঘাঁটি গাড়ার পেছনে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে চীনকে।
ভিডিও ফুটেজে বলা হয়, গত মাসে আমেরিকান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের বাংলাদেশ সফরের সময় উভয় পক্ষ এই বিষয়ে কৌশলগত বিভিন্ন কথাবার্তা সেরে রেখেছিল।
কারণ দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের নৌঘাঁটি গঠনসংক্রান্ত খবরে পেন্টাগণের ওই অঞ্চলে কর্তৃত্ব হারানোর উদ্বেগ বাড়ছে। তাই তারা চীনকে রুখতে কাছাকাছি অঞ্চলে নিজেদের সামরিক শক্তি মজুদ রাখতে চায়। এছাড়া আফগানিস্তান থেকে আমেরিকান সেনা প্রত্যাহার শুরু হলে তারা দক্ষিণ এশিয়ায় কর্তৃত্ব ধরে রাখতে চাইবে। তাই এই শক্তি মজুদের জন্য বঙ্গোপসাগরই উপযুক্ত স্থান।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, যদিও হিলারির সফরের সময় ৭ম নৌ বহর বা সামরিক কোনো বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি অস্বীকার করেছে আমেরিকান প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে তারা পরিষ্কার করে কিছু জানায়ওনি। এমনকি বাংলাদেশ সরকারও এই বিষয়টিতে মুখ বন্ধ রেখেছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশে ভারতের রাষ্ট্রদূতকে এ বিষয়ে একটি প্রশ্ন করা হয়। প্রশ্নটি হলো-যদি আমেরিকা চট্টগ্রামে তাদের নৌ ঘাঁটি স্থাপনের অনুমতি চায়, আপনি কি তাতে মত দেবেন? উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না এমন কোনো অনুরোধ এসেছে কিনা।’
এছাড়া এই বিষয়ে একটি চীনা মিলিটারি ওয়েবসাইট জানায়, টাইমস অব ইন্ডিয়ার রিপোর্টটিতে বাংলাদেশে হিলারির সফরকে যতটানা বন্ধুত্বের তার চেয়ে বেশি কৌশলগত বলে ইঙ্গিত করা হয়েছে। কারণ চট্টগ্রামে আমেরিকান নৌবহর ঘাঁটি গাঁড়লে ভারতও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে তাদের ধারণা। কারণ তখন ভারতের সকল নিরাপত্তা স্থাপনা আমেরিকার নজরদারির আওতায় থাকবে। তাছাড়া নতুন এই ঘটনায় ভারতও বিস্মিত হয়েছে, কারণ চট্টগ্রামের প্রতি ভারতেরও কৌশলগত আগ্রহ রয়েছে বলে ওয়েবসাইটটি দাবি করে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার রিপোর্ট সত্য হলে তা হবে গত ৪১ বছরের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে আমেরিকার নৌবহরের প্রথম প্রবেশ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানকে সাহায্য করার জন্য আমেরিকান ৭ম নৌবহর বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছিল। তখন সোভিয়েত ইউনিয়নের পাল্টা হুমকির মুখে তা ফিরে যেতে বাধ্য হয়।