ঢাকা, ৩ জুন: বাংলাদেশের পুলিশের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে দেশব্যাপি যখন প্রশ্নের ঝড়- তখন ইউরোপের একটি দেশের কূটনীতিক বিদেশীদের পরামর্শ দিলেন পুলিশ থেকে দূরে থাকতে। লন্ডনভিত্তিক একটি বাংলা অনলাইন পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ওই কূটনীতিক এই পরামর্শ দেন।
অনলাইন পত্রিকাতে প্রকাশিত সংবাদটিতে বলা হয়েছে, ঢাকায় বসবাসরত বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের পুলিশের সাহায্য নেয়ার আগে দূতাবাসে যোগাযোগের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়, কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায় সাংবাদিকদের সঙ্গে পুলিশের আচরণ নিয়ে এখন উদ্বিগ্ন দূতাবাসগুলো।পরিস্থিতি গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে উল্লেখ করে মার্কিন এক কূটনীতিক জানান, পুলিশের কাজ জনগণের বন্ধু হওয়া।কিন্তু সাংবাদিকদের সঙ্গে তাদের আচরণ সত্যিই আতঙ্কজনক।এটা কোনো সভ্য দেশের পুলিশের আচরণ হতে পারে না।
বিবিসি’র বরাত দিয়ে পত্রিকাটি লিখেছে, সাংবাদিকদের কাজ করার ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম ভয়ানক স্থান এখন বাংলাদেশ।কারণ এখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীই সাংবাদিকদের কাজের অন্যতম অন্তরায়।তাদের শারীরিক নির্যাতনও করছেন পুলিশ সদস্যরা।
অন্যদিকে এএফপি’র বরাত লেখা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের ওপর সিরিজ হামলা হয়েছে।তিন ফটোসাংবাদিককে রাস্তায় নির্লজ্জের মতো পিটিয়েছে পুলিশ।অথচ সাংবাদিক দম্পতি হত্যার কোনো রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি।কর্মকর্তারা আদালতে নিজেদের ব্যর্থতাও স্বীকার করেছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে বলেছে, নিরাপত্তা হেফাজতে মৃত্যু, খেয়াল খুশিমতো গ্রেফতার ও আটক রাখার জন্য দায়ী নিরাপত্তা বাহিনী।তাদের নির্বিচারে গ্রেফতার নিয়ে সরকার উদাসীন।এটা সুস্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন।
যুক্তরাষ্ট্রে সর্বাধিক প্রচারিত নিউইয়র্ক ডেইলি বলেছে, পুলিশের কাছে লোকজন সাহায্য চাইতে পারছে না।তাদের মধ্যে পুলিশ সম্পর্কে আতঙ্ক কাজ করে। কারণ, পুলিশ আপাদমস্তক দুর্নীতিতে নিমজ্জিত।