ঢাকা, ৫ জুন: ‘উপাচার্যের স্বেচ্ছাচারের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নেই’ এমন অভিযোগ তুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. হারুন অর রশিদ ও কোষাধ্যক্ষ মীজানুর রহমান মঙ্গলবার বিকেলে পদত্যাগ করেছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে তারা মন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। নিয়মানুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতির কাছে এ পদত্যাগপত্র দুটি পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে ড. হারুন অর রশিদ বার্তা২৪ডটনেটকে বলেন, ব্যক্তিগত শিক্ষা ও গবেষণায় মনোনিবেশ করার জন্য উপ-উপাচার্যের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছি। বার্তা২৪ডটনেট-এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিকে ড. হারুন বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্যই আমি পদত্যাগ করেছি। যে স্বপ্ন নিয়ে আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেটি বাস্তবায়ন করতেই শিক্ষামন্ত্রীর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের কাছে পদত্যাগ পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।’’
পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার পর নিজের প্রতিক্রিয়ায় মীজানুর রহমান বার্তা২৪ডটনেট প্রতিনিধিকে বলেন, ‘‘বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় অচল হয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় একটি টিম ওয়ার্ক। উপাচার্যের স্বেচ্ছাচারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। তাই বাধ্য হয়ে আমি পদত্যাগ করেছি।’’ তিনি বলেন, ‘‘আমি আশা করি আমার পদত্যাগের পরও বিশ্ববিদ্যালয় ভালোভাবে চলবে।’’
বিশ্ববিদ্যালয়টির শীর্ষ দুই পদ থেকে ড. হারুন ও মীজানুর এমন একক সময়ে পদত্যাগ করলেন, যখন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য আআমস আরেফীন-এর সঙ্গে নানা ইস্যুতে আওয়ামী লীগ সমর্থক শিক্ষকদের একাংশের দ্বন্দ্ব জোরাল আকার ধারণ করেছে।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়টির আওয়ামী লীগ সমর্থক নীল দলের প্রভাবশালী শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আনোয়ার হোসেন দাবি করেছিলেন যে সরকার নিযুক্ত উপাচার্যের বদলে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নির্বাচন করতে হবে। এরপর তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্ড নিযুক্ত হন।
পরে একই দাবিতে নীল দলের শিক্ষক নেতা ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. ওহিদুজ্জামান সম্প্রতি হাইকোর্ট বিভাগে আবেদন করেন।